Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে আজ ১ থেকে ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ২:০৭ পিএম

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। অব্যবস্থাপনা থেকেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ বলে দাবি করেছে গ্রাহকরা। ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা দুই প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ১৮ জুলাই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ জুলাই থেকে দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও কেন কমেনি লোডশেডিং। চলতি অক্টোবর থেকে লোডশেডিং কমবে বলে জানিয়েছিল সরকার। কিন্তু তা হয়নি। বরং লোডশেডিং আরও বেড়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে কিছুটা কমতে পারে বলে বিদ্যুৎপ্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র থেকে বলা হয়,গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিনে সর্বোচ্চ ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছিল। অক্টোবরে তা বেড়েছে। ডিপিডিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল লোড ডেসপাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) মাধ্যমে বরাদ্দপ্রাপ্তির ভিত্তিতে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বা সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে।
রাজধানীর অনেক এলাকায় চলছে তিন থেকে চার ঘণ্টার বিদ্যুতের লোডশেডিং। বেড়েছে চার্জার লাইট ও ফ্যানের চাহিদা। গতকাল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মার্কেটের সামনে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ যা ভাবা হচ্ছে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ। তবে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজ, বিদ্যুৎ-বিভ্রাট বা কম বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে এনএলডিসি থেকে খুব কম লোড পেলে লোডশেডিংয়ের সূচির পরিবর্তন হতে পারে। এ ছাড়া বরাদ্দ কম হলে প্রয়োজনে রাত ১২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত লোডশেডিং করা হতে পারে। রাজধানীতে ডিপিডিসি ও ডেসকোএই দুই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা লোডশেডিংয়ের তালিকা দিয়েছে। পাঠকের জন্য এই তালিকা তুলে ধরা হলো। এদিকে আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা বিভিন্ন পাড়ায় সকল থেকে বিদ্যুৎ ছিল না বলে জানিয়েছেন ডিপিডিসি গ্রাহক সালমা রশিদ। তিনি বলেন, একদিকে বিদ্যুৎ ঘন ঘন লোডশোডিং অন্যদিরক কার্ডে টাকা ঢুকানো মাত্র কেটে নিচ্ছে। তা আগে চেয়ে বেশি টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে গ্যাস-সংকটের কারণে বস্ত্র খাত মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী। বিটিএমএর সভাপতি বলেন, গত মার্চে গ্যাসের সংকট শুরু হয়। জুলাইয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। আর আগস্ট থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, নরসিংদীর মাধবদী, ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাভার-আশুলিয়া, গাজীপুরের শ্রীপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বস্ত্রকলগুলো গ্যাস–সংকটের কারণে দিনে গড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকছে। এতে করে কারখানাগুলো উৎপাদনক্ষমতার মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতি কেজি সুতা উৎপাদনে ১ ডলার ২৫ সেন্ট খরচ হলেও দিনের অর্ধেক সময় কারখানা বন্ধ থাকার কারণে তা বেড়ে আড়াই ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। বিটিএমএ সভাপতি বলেন, কাপড় রং করার ডাইং কারখানাগুলোও লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে ৬০ শতাংশ বস্ত্রকল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত সংকট সমাধান করে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করা না হলে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ