মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসবাদের উপর নজরদারি সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ধূসর তালিকায় ছিল পাকিস্তান। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সেই তালিকা থেকে বেরিয়ে এসেছে ইসলামাবাদ। ১৮ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত প্যারিসে বৈঠক করেছিল এফএটিএফ। সেই বৈঠকের শেষ দিনই সিদ্ধান্ত নেয় ৩৯ সদস্য দেশের এই সংগঠন। এরপরই এই বিষয়ে মুখ খুলেছে ভারত। জানিয়ে দিয়েছে, তালিকা থেকে যতই বেরিয়ে আসুক, প্রতিবেশী দেশটি যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ পদক্ষেপ করে চলে।
ঠিক কী বলেছে ভারত? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, ‘এফএটিএফের নিরীক্ষণের ফলাফল হিসেবে পাকিস্তানকে বহু কুখ্যাত জঙ্গির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। যাদের মধ্যে ২৬/১১ মুম্বইয়ের হামলায় যুক্তরাও রয়েছে। তবে গোটা বিশ্বের স্বার্থেই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদতদাতাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য, প্রমাণযোগ্য, অপরিবর্তনীয় এবং টেকসই পদক্ষেপ করে যেতে হবে।’
একই সুর শোনা গিয়েছে এফএটিএফ কর্তাদের মুখেও। সিঙ্গাপুরের টি রাজা কুমার বলেছেন, ‘তাদের (পাকিস্তান) ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে এখনও তাদের অনেক কিছুই (সন্ত্রাসবাদ দমন) করতে হবে। তবে তারা সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে। আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই জঙ্গিদের অর্থ জোগান ঠেকাতে এশিয়া-প্যাসিফিক এই সংগঠনটির সঙ্গে কাজ করুক পাকিস্তান।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এফএটিএফ প্রতিনিধিরা। তারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাকিস্তানি প্রশাসকদের মধ্যে যথেষ্ট রাজনৈতিক সদিচ্ছা রয়েছে।’
বিশ্লেষকদের মতে, চার বছর পরে পাকিস্তানের ‘শাপমুক্তি’র নেপথ্যে রয়েছে আমেরিকা। ইমরান খান সরকারের পতন চাইছিল ওয়াশিংটন। ইমরানের আমলে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে পাকিস্তানের দহরম মহরম মেনে নিতে পারছিল না আমেরিকা। আফগানিসস্তানে তালিবানের ফিরে আসা এবং মধ্য এশিয়ায় চীনা প্রভাব বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই শাহবাজ শরিফের সরকার ও পাকিস্তানের সেনাকে এ উপহার দিতে চেয়েছিল বাইডেন প্রশাসনের। ফলে ধূসর তালিকা থেকে ইসলামাবাদের নাম বাদ দেয়ার নেপথ্যে আমেরিকার হাত নিয়ে সেই অর্থে সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না বলেই মত বিশ্লেষকদের। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।