মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই বিলকিস বানু গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের সাজা মকুব করে দিয়েছিল ভোরতের কেন্দ্র সরকার। এমনটাই জানা গেল সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা কিছু নথিপত্র থেকে। জেলে ভাল আচার ব্যবহারের জন্য বিলকিস বানু গণধর্ষণে দোষীদের সাজা মওকুফ করার আর্জি জানিয়েছিল গুজরাট সরকার। সিবিআই ও বিশেষ আদালতের আপত্তি সত্বেও মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে সেই আর্জি মঞ্জুর করে দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
বিলকিস বানু গণধর্ষণে দোষীদের কেন জেল থেকে মুক্তি দেয়া হল, গুজরাট সরকারের কাছে প্রশ্ন করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্রও সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয় গুজরাট সরকারকে। সেই হলফনামাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের ২৮ জুন কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানায় গুজরাট সরকার। মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যেই উত্তর আসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। গুজরাট সরকারের আবেদন মেনেই দোষীদের মুক্তি দিতে সম্মতি জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। গত ১৫ আগস্ট জেল থেকে বেরিয়ে আসে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে ১১ জন দোষী।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে মোদি সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে। ধর্ষণের অভিযোগে দোষী ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে-এই দুই ক্ষেত্রে সাজা মওকুফ করে দেওয়ার বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। তা সত্বেও কী করে বিলকিস কাণ্ডে জড়িতদের সাজা মওকুফ করে জেল থেকে বেরিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হল? সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, গুজরাট সরকারের যে উপদেষ্টা কমিটি দোষীদের সাজা মওকুফ করার প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছিল, তাদের মধ্যে অধিকাংশই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।
দোষীদের মুক্তি প্রসঙ্গে কিছুই জানতেন না বিলকিস বা তার পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে, জেল থেকে বেরনোর পরে দোষীদের বীরের মতো বরণ করা হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে। তারপরেই দোষীদের মুক্তি দেয়া নিয়ে সরব হয়েছে ভারতের নানা অংশের মানুষ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র যৌথভাবে সুপ্রিম কোর্টে গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন। তারপরেই গুজরাট সরকারের কাছে হলফনামা তলব করে শীর্ষ আদালত। তবে সাধারণ মানুষের অধিকাংশই চান, সিদ্ধান্ত বদল করুক গুজরাট সরকার। ফের জেলে বন্দি করা হোক অপরাধীদের। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।