Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কংগ্রেস নেহেরু-গান্ধী পরিবারের বাইরের সভাপতি পাবে কাল

৯৫০০ প্রতিনিধির ভোট বাক্সবন্দি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

অবশেষে বাক্সবন্দি হল নতুন কংগ্রেস সভাপতির ভাগ্য। আগামীকাল জানা যাবে, কে হচ্ছেন ভারতের প্রাচীন এই দলটি পরবর্তী কর্ণধার কে হচ্ছেন। তবে আগেই জানা গেছে, নেহেরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে যাচ্ছে এই পদটি। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মসৃণ কথা বলা কূটনীতিক থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা শশী থারুর এবং গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ প্রবীণ রাজনীতিবিদ মল্লিকার্জুন খাড়গে।
২৪ বছর পরে হওয়া নির্বাচনে প্রায় ৯৫০০ প্রতিনিধি ভোটদান করেছেন বলে জানিয়েছেন ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মধুসূদন মিস্ত্রি। ৯৯০০ সদস্যের মধ্যে ৯৫০০ জনের ভোটদান শতাংশের নিরিখে প্রায় ৯৬%। তিনি আরো জানিয়েছেন, এআইসিসির ৮৭ জন সদস্য দিল্লিতে ভোট দিয়েছেন।
আগামীকাল বুধবার এই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বলে দাবি করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মধুসূদন মিস্ত্রি। ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস ২৪ বছর পরে নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি হিসেবে কোনো নেতাকে পাবে। তবে এর সঙ্গে দল চালাতে গান্ধী পরিবারের নির্দেশিকা ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রিয়ঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ভোট সোনিয়ার এদিন নতুন দিল্লির এআইসিসির সদর দফতরে ভোট দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী প্রধান সোনিয়া গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেছেন, এ ভোটের জন্য তিনি অনেকদিন ধরেই অপেক্ষা করছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদের সভাপতি ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। ২০১৭ এবং ২০১৯-এর মধ্যে দুটো বছর বাদ দিলে টানা সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।
কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার কর্মসূচিতে কর্ণাটকে রয়েছেন প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি এদিন বেল্লারিতে ভোট দেন। তার সঙ্গে ভোট দেন কংগ্রেসের আরো ৫০ জন সদস্য। ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর ৪০তম দিনটিকে এদিন বিশ্রামের দিন হিসেবে রাখা হয়েছিল।
এদিন কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী শশী থারুর বলেছেন, তিনি দলের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোনো স্বার্থপরতার জন্য নয়। এদিকে এদিন কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি ভোট দেন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর হুডা ভোট দিয়েছেন হরিয়ানা কংগ্রেস ভবনে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ এবং তার সংসদ সদস্য পুত্র নকুল নাথ এদিন ভোট দিয়েছেন। এদিন সব মিলিয়ে মধ্যপ্রদেশের ৫০২ জন প্রতিনিধি ভোটার তালিকায় ছিলেন। নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়গে ভোট দিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে।
থারুর বিশ্বাস করেন যে, নতুন নেহেরু-গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতৃত্ব ভারতের বড় পুরনো দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। সাধারণ নির্বাচন দুই বছরেরও কম সময় বাকি থাকায়, কংগ্রেসের এটা খুবই প্রয়োজন। গত দুই নির্বাচনে দলটিকে ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতাচ্যুত করেছে। ২০১৯ সালে বিজেপি কংগ্রেসের দ্বিগুণ ভোট পেয়েছিল।
কিন্তু মি. থারুরের আশা বৃথা হতে পারে। কংগ্রেসের নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রস্তুতি একই অযোগ্যতা এবং অন্তর্দ্বন্দ্বে আচ্ছন্ন হয়েছে যা দলটিকে বছরের পর বছর ধরে জর্জরিত করেছিল। সবচেয়ে বড় কথা, গান্ধী পরিবারের নিয়ন্ত্রণ ত্যাগ করার সম্ভাবনা নেই। মল্লিকার্জুন খাড়গে আরামে জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র : দ্য ইকোনমিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ