মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্ব ক্ষুধার নিরিখে আরও নেমে গেলে ভারত। ২০২০ সালে ভারত ১০৭ টি দেশের মধ্যে ৯৪ তম স্থানে ছিল। ২০২১-এ ভারত ১১৬ টি দেশের মধ্যে ছিল ১০১ তম স্থানে। আর ২০২২-এ ভারতের স্থান ১২১ টি দেশের মধ্যে ১০৭। ২০২২-এৎ নিরিখে ভারতের চার প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা ৬৪, নেপাল ৮১, বাংলাদেশ ৮৪ এবং পাকিস্তান ৯৯ তম স্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ আফগানিস্তান রয়েছে ভারতের থেকে নিচে, ১০৯ তম স্থানে।
বিশ্ব ক্ষুধার সূচক আবার চারটি সূচকের মানের ওপরে নির্ভর করে। বিশ্ব, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে ক্ষুধার পরিমাপ এবং ট্র্যাক করার হাতিয়ার হল এই বিশ্ব ক্ষুধার সূচক। এর মান আবার চারটি সূচকের মানের ওপরে নির্ভর করে। তার মধ্যে রয়েছে অপুষ্টি, চাইল্ড স্টান্টিং, চাইল্ড ওয়েস্টিং এবং চাইল্ড মর্টালিটি। বিশ্ব ক্ষুধার সূচক ১০০ পয়েন্টের স্কেলে গণনা করা হয়। যেখানে শূন্য হল সেরা স্কোর। যেখানে ক্ষুধা নেই। অন্যদিকে তা ১০০ হলে সব চেয়ে খারাপ। সেখানে ভারতের স্থান ১০৭।
বিশ্ব ক্ষুধার সূচক ভারতের স্কোর ২৯.১। যার অর্থ গুরুতর। ২০০০ সালে যা ছিল ৩৮.৮। আর ২০১২ থেকে ২০২১-এর মধ্যে ভারতের স্কোর ২৭.৫ থেকে ২৮.৮-এর মধ্যে ঘোরা ফেরা করেছে। ২০২২-এর নিরিখে শ্রীলঙ্গা ৬৪, নেপাল ৮১, বাংলাদেশ ৮৪, পাকিস্তান ৯৯ তম স্থানে। আফগানিস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় এমন একটি দেশ যেখানে ক্ষুধার সূচক সব থেকে খারাপ। ভারতের অপর প্রতিবেশী চীনের স্থান ১ থেকে ১৭-র মধ্যে রয়েছে। তাদের স্কোর ৫-এরও কম।
উচ্চতা এবং কম ওজনের জন্য ভারতের শিশু নষ্ট হওয়ার হার যথেষ্টই খারাপ। ২০২২-এ ১৯.৩ শতাংশ। ২০১৪-তে ১৫.১ শতাংশ এবং ২০০০-এ যা ছিল ১৭.১৫ শতাংশ-এ থেকেও খারাপ। ভারতের এই স্থান বিশ্বের যে কোনও দেশের থেকে বেশি। আর ভারতের ক্ষেত্রে তা বিপুল জনসংখ্যার কারণকেই তুলে ধরা হয়েছে। ভারতে অপুষ্টির প্রাদুর্ভাবও বেড়েছে। জনসংখ্যার অনুপাতে খাদ্যগ্রহণ দীর্ঘস্থায়ীভাবে কম হলেই, তা অপুষ্টির মধ্যে পড়েছ ২০১৮-২০১৯ সালের ১৪.৬ শতাংশ থেকে তা ২০১৯-২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৬.৩ শতাংশ। এই হিসাবের নিরিখে সারা বিশ্বে অপুষ্টির স্বীকার ৮২৪ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ভারতের ২২৪.৩ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার।
বিশ্ব ক্ষুধার নিরিখের চারটি সূচকের মধ্যে দুটি সূচকে ভারতের স্থানের উন্নতি হয়েছে। চাইল্ড স্টান্টিং-এ ৩৮.৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩৫.৫ শতাংশ এই সময়ের মধ্যে শিশু মৃত্যুর হার ৪.৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩.৩ শতাংশ। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিশ্ব ক্ষুধার নিরিখে ভারতের স্কোর ২০১৪-র ২৮.২ শতাংশ থেকে ২০২২-এ ২৯.১ শতাংশ হয়েছে। তুলনায় খারাপের দিকে গিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার বিরুদ্ধে অগ্রগতি খুব একটা কিছু হয়নি। ২০১৪-র ১৯.১ থেকে তা ২০২২-এ ১৮.২-এ পৌঁছেছে। এর কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং করোনা মহামারীর কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে ২০২৩-এ এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কেননা ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও সারের দাম বৃদ্ধি করেছে। সারা বিশ্বের ৪৪ টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা গুরুতর অবস্থায় রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।