মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অ্যাপভিত্তিক চীনা বিনিয়োগ প্রতারণার দায়ে এক চীনা নাগরিকসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ৯০৩ কোটি রুপির মুদ্রাপাচারসংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ভারতীয় নাগরিক সাহির বাজাজ, সানি, ভিরেন্দ্র সিং, সঞ্জয় যাদব, নাভিন কৌশিক, মোহাম্মদ পারভেজ, সৈয়দ সুলতান, মির্জা নাদিম বেগ। গ্রেপ্তারকৃত চীনা নাগরিকরা হলেন—লি ঝংজুন ও তাইওয়ানের নাগরিক চু চুন-ইউ।
গ্রেপ্তারকৃত চীনা নাগরিক লি ঝংজুন এর আগে দিল্লিতে আটক ছিলেন। এ ঘটনায় তাকে প্রথম আটক করা হয়। এরপর তার থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে বাকিদের আটক করা হয়। কম্বোডিয়া থেকে দিল্লি আসার পর ঝংজুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কয়েক মাস আগে হায়দরাবাদরে তারনাকা শহরের এক বাসিন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি লোক্সাম অ্যাপের মাধ্যমে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কিছুদিন পর তিনি সেই অ্যাপে নিজের অ্যাকসেস হারান এবং বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
এ ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ দেখতে পায় ভুক্তভোগীর টাকা প্রথমে জিনদাই টেকনোলোজিস প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এই অ্যাকাউন্টটি ভিরেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তি পরিচালনা করেন।
পুলিশি তদন্তের সময় ভিরেন্দ্র পুনেতে গ্রেপ্তার হন। সে সময় পুলিশ জানতে পারে এটি চীন থেকে পরিচালিত একটি বিনিয়োগ জালিয়াতি। এই চক্রের প্রধান এখন চীনে রয়েছে।
পরবর্তীতে পুলিশ দেখতে পায় জিনদাই টেকনোলোজসের নামে খোলা ব্যাংক অ্যাকউন্টে দেওয়া ফোন নাম্বারটি দিয়ে দিল্লিতে সঞ্জয় কুমার নামে অপর ব্যক্তি বিটেক নেটওয়ার্ক নামে আরেকটি ব্যাংক হিসাব খুলেছে।
পুলিশ পরে জানতে পারে সঞ্জয় চীনা নাগরিক লি ঝংজুন এর সঙ্গে কাজ করে থাকে। লি ঝংজুন দুজন চীনা নাগরিকের পরামর্শে এসব করে থাকেন তারা হলেন- পেই এবং হুয়ান ঝুয়ান। এই অভিযুক্তরা বর্তমানে চীনে রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
পুলিশ জানায় সঞ্জয় প্রায় ১৫টি ব্যাংক হিসাব খুলেছেন। এসব ব্যাংক হিসেবের তথ্য লি ঝংজুনকে প্রদান করেছেন। জিনদাই ও বিটেক এর ব্যাংক হিসাবে যেসব অর্থ আসে সেগুলা পরবর্তীতে অন্যান্য ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
জিনদাইয়ের ব্যাংক হিসাবের অর্থ প্রায় ৩৮টি ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। যার সঙ্গে জড়িত হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা সৈয়দ সুলতান ও মির্জা নাদিম বেগ। পারভেজের নির্দেশনায় তারা এসব করে থাকেন।
অপর অভিযুক্ত নাভিন কৌশিক রঞ্জন মানি করপোরেশন ও কেডিএস ফরেক্সট প্রাইভেট নামে দুটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের ব্যাংক হিসাবে টাকা স্থানান্তর করে। পরবর্তীতে এসব টাকা ইউএস ডলারে রুপান্তর করে বিদেশে প্রেরণ করা হয়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।