Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বরগুনায় প্রেমিকের বাড়ীতে জিম্মায় থাকা প্রেমিকা: ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রেমিকার লাশ উদ্ধার!

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ৫:৫৪ পিএম

বরগুনার তালতলীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকাকে জিম্মায় রাখার ২৪ ঘন্টার মধ্যে লাশ উদ্বার করা হয় কিশোরী প্রেমিকা মারুফা আক্তারের (১৪)। আজ শুক্রবার তালতলী উপজেলার বেথিপাড়া নিজ বাড়ির পুকুর পাড় থেকে মারুফার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মারুফার পরিবারের দাবি নির্যাতন শেষে হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তালতলী উপজেলা ছোটবগী ইউনিয়নের বেথিপাড়া গ্রামের মৃত হানিফ হাওলাদারের মেয়ে মারুফার সাথে পাশ্ববর্তী ঠংপাড়া এলাকার সুলতান পহলানের পুত্র হৃদয় পহলান (২৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হৃদয় ও মারুফাকে ঠাংপাড়া এলাকায় একটি বাগানে ভিতর দেখা যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পরে উভয়কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় হৃদয়ের বাড়িতে চাচা সোনা মিয়া ও বড় ভাই সোলায়মানের জিম্মায় দেয়া হয় ।

মারুফার ছোট বোন মারিয়া(১২) সকালে বাড়ির পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দেওয়ার জন্য গেলে বড়বোনকে পুকুর পাড়ে শুয়ে থাকতে দেখে ডাকাডাকি করলে না উঠায় বাড়ীর লোকজনকে ডেকে আনে। পুলিশ কে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান। কিশোরী প্রেমিকা হত্যা ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই জিম্মাদার হৃদয়ের চাচা সোনা মিয়া ও ভাই সোলেয়মান হোসেনসহ তাদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।

মারুফার ছোট বোন মারিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বড় আপুর ফোনে কল আসে। তার পরে আমাকে মামার বাড়িতে রেখে আসেন। সকালে পুকুর পাড়ে ফুল গাছে পানি দিতে গেলে আপুর লাশ দেখে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এছাড়া আমি কিছুই জানি না।

তরুনীর খালু আয়নাল হোসেন বলেন, প্রেমিক হৃদয়ের বাড়ি তার চাচা ও ভাইয়ের কাছে মারুফাকে জিম্মা রাখা হয়েছে। হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এনায়েত পেয়াদা বলেন, বৃহস্পতিবার ঠংপাড়া বাগান থেকে সন্ধায় উভয়কে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে প্রেমিক হৃদয়ের বাড়িতে তার চাচার সোনামিয়া ও বড় ভাই সোলেয়মান এর কাছে মেয়েকে রাতে জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, হৃদয়ের স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর একটি সন্তানও রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনাস্থলে পিবিআই ও সিআইডি টিম এসেছে। তারা তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে বলা যাবে । লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হৃদয় নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ উদ্ধার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ