বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীর দাগনভুইয়ায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত । একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাম মো. আবদুল করিম খান বাহাদুর (৬০) উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশীপুর গ্রামের মৃত হাজি আলতাফ আলীর ছেলে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবদুল করিম খান বাহাদুর উপজেলার খুশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম ঘটনা পর ওই শিক্ষক আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ সকাল ৯টার দিকে আসামি মো. আবদুল করিম খান বাহাদুর ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। বিদ্যালয়ে তখন আর কোনো শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী ছিল না। এ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে একা একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক।
পরবর্তীতে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ওই শিক্ষক ওই ছাত্রীকে নানা হুমকি দেন। ওই দিনের পর ওই শিক্ষক আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
কিছুদিন পর ওই শিক্ষকের চাপ ও হুমকি সইতে না পেরে ওই ছাত্রী ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। পরিবার আইনের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম খান বাহাদুরকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
দাগনভূঞা থানার এসআই মো. মোবারক হোসেন মামলাটি তদন্ত শেষে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় বাদীসহ মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।