Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইউক্রেন সংঘাতকে ইন্ধন দিচ্ছে জি৭

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

চীনের সরকারি পত্রিকা গ্লোবাল টাইমস বলেছে, গ্রুপ অফ সেভেন (জি৭) এর দেশগুলো কিয়েভ সরকারকে তাদের ক্রমাগত অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইউক্রেনের সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে এবং ইন্ধন জোগাচ্ছে।
রাশিয়ান-ইউক্রেনীয় দ্বন্দ্বের সর্বশেষ বৃদ্ধির পরে জি৭ নেতারা কিয়েভকে তাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। চীনা পর্যবেক্ষকরা বিশ্বাস করেন যে, পশ্চিমারা ‘রাশিয়াকে নিঃশেষ করতে একটি দীর্ঘায়িত প্রক্সি যুদ্ধের দিকে নজর দিচ্ছে,’ কাগজটি বলেছে। গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহ করে অগ্নিশিখা অব্যাহত রেখেছে এবং বর্তমান ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার জন্য তাদের দায়ী করা উচিত।

ইস্ট চায়না নরমাল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর রাশিয়ান স্টাডিজের সহকারী রিসার্চ ফেলো কুই হেং মঙ্গলবার গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন যে, দেখে মনে হচ্ছে ‘ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এবং তারা নিজের স্বার্থের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম।’ তাদের জরুরী বৈঠকের পরে একটি যৌথ বিবৃতিতে, জি৭ দেশগুলো ইউক্রেনকে আর্থিক, মানবিক এবং সামরিক সহায়তা প্রদান এবং রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার চাপ অব্যাহত রাখার জন্য তাদের প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

সোমবার সকালে কিয়েভ এবং ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বলেছেন যে, ইউক্রেনের শক্তি, সামরিক কমান্ড এবং যোগাযোগ সুবিধাগুলিতে ‘দূরপাল্লার নির্ভুল অস্ত্র’ নিক্ষেপসহ একটি বিশাল হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, ইউক্রেনীয় সরকার অনেক আগে থেকেই সন্ত্রাসী পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেছিল, যেমন তুর্কি স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনের একটি অংশ উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা, জাপোরোজিয়ভ এনপিপিতে হামলা, কুর্স্ক এনপিপিতে তিনটি সন্ত্রাসী হামলা। রুশ প্রেসিডেন্ট কিয়েভকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এসব পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেয়া হবে। সূত্র : গ্লোবাল টাইমস।



 

Show all comments
  • হাসান করিম ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০৩ পিএম says : 0
    পশ্চিমা বিশ্ব আপনারা রাশানদের নিয়ে এত দ্বিধাদন্ধে ভুগছেন কেন? একযোগে ঝাপিয়ে পড়ুন রাশান বিরুদ্ধে আর ধ্বংস করুন তাদের কে। যেমনটা করেছিলেন ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও আফগানদের বিরুদ্ধে। সমস্যা কি ওখানে মুসলিম হত্যার সুযোগ নেই বলে??
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ