Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইউরোপের জন্য তুরস্ক অপরিহার্য মন্ত্রিসভার বৈকঠ শেষে এরদোগান

তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা ইউক্রেনের, বৈঠক হতে পারে এরদোগান-পুতিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাশিয়ার সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছে ইউক্রেন। সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। এ সময় রুশ হামলার পর নিজ দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি। কূটনৈতিক সূত্রের একথা বলা হয়েছে।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে দিমিত্রো কুলেবা বলেন, ফোনালাপে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মেভলুত কাভুসোগলু। একইসঙ্গে ইউক্রেনের প্রতি আঙ্কারার সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। এর আগে এ মাসের গোড়ার দিকে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় সংযুক্তিকরণের কঠোর সমালোচনা করে তুরস্ক।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মস্কোর সিদ্ধান্ত ‘আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিষ্ঠিত নীতির গুরুতর লঙ্ঘন। এটি অগ্রহণযোগ্য।’ অপরদিকে, ইউরোপের জন্য তুরস্ক অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এরদোগান বলেন, আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ দেখিয়ে দিয়েছে যে, ইউরোপের জন্য তুরস্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে দুনিয়ার প্রতিটি ঘটনাপ্রবাহ এই সত্যকে সামনে নিয়ে আসছে। সম্প্রতি চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টিও উল্লেখ করেন এরদোগান। জানান, এসব বৈঠকে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তার দেশ আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকেই এজিয়ান সাগর এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সংকটের সমাধান করতে চায়। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেওয়ায় প্রাগ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা তুরস্কের প্রশংসা করেছে বলেও জানান এরদোগান।

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান চলতি সপ্তাহে বৈঠক করতে পারেন। বৈঠকে মিলিত হলে দুই নেতা ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের বৈঠকের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করবেন। সোমবার রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন একথা জানিয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, তুরস্কে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত এখনও পায়নি রাশিয়া। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পুতিন ও এরদোগানের আলোচনা হতে পারে। চলতি সপ্তাহে পুতিন ও এরদোগান কাজাখস্তানে মিলিত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাত মাস ধরে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ চলমান থাকায় পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ক্রিমিয়ায় রুশ নির্মিত সেতুতে হামলার পর সোমবার ইউক্রেনজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মস্কো ও কিয়েভ উভয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের। চলমান সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতা করে আসছে দেশটি। জুলাই মাসে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানির চুক্তি হয়েছে।

সেপ্টেম্বরে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এরদোগান বলেছিলেন, শান্তি আলোচনার পথকে আরেকটি সুযোগ দেওয়ার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউজ রবিবার বলেছে, যুদ্ধ অবসানে উভয়পক্ষের উচিত আলোচনার একটি পথ খুঁজে বের করা। শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে এরদোয়ানের। তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে তুরস্কের আগ্রহের কথা পুতিনকে আবারও বলেছেন এরদোগান। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ