মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পার্ল হারবারে মার্কিন নৌবাহিনীর উপর ভয়াবহ হামলার ৭৫ বছর পর আবার পরাক্রমশালী সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে জাপান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের একরকম জোর করে চাপিয়ে দেয়া সংবিধান অনুযায়ী জাপান শুধু দেশের প্রতিরক্ষার কাজে সেনাবাহিনী গঠন করতে পারবে। অন্য কাউকে আক্রমণের জন্য কখনোই সামরিক শক্তি বৃদ্ধি বা প্রদর্শন করা চলবে না। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরকম বিধি-নিষেধের পরও সামরিক দিক থেকে টোকিও এতটাই শক্তিশালী হয়েছে যে, বিশ্বের যেকোনো দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তারা লড়াই করার সক্ষমতা রাখে। ইউএস আর্মি কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজের সামরিক ইতিহাসের অধ্যাপক জন টি কুয়েন বলেন, পাইলটের জন্য পাইলট, জাহাজের জন্য জাহাজ, জাপান যে কারো বিরুদ্ধে সমানে সমান হয়ে লড়াই করতে পারবে। আর এ সক্ষমতা অর্জনে জাপানের খরচ হয়েছে অন্যান্য শক্তিশালী রাষ্ট্রের সামরিক বাজেটের ভগ্নাংশ। কীভাবে? সেই প্রশ্নেরই উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন কুয়েন। কুয়েন একাই জাপানের নৌবাহিনীর শক্তি সম্পর্কে এমন উচ্চ ধারণা দিচ্ছেন তা নয়। জাপান সিকিউরিটি ওয়াচ ব্লগের এডিটর কাইল মিজোকামিও জাপানের সামরিক শক্তিমত্তা নিয়ে যথেষ্ট অবগত। জাপানের নৌবাহিনী বিশ্বের সেরা পাঁচ নৌবাহিনীর একটি। মিজোকামি জানান, জাপানের এই সামরিক শক্তির উন্নতিতে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে বিশাল অবদান। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিজোকামি বলেন, জাপান আর যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সামরিক পরাশক্তি আজকের পৃথিবীতে।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যের মধ্যে যে সম্পর্ক তার চেয়েও বেশি নিবিড় জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক। মিজোকামি আরো বলেন, এই দুই দেশের সেনা প্রতিদিন একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নেয়। আকাশে, ভূমি এবং সাগরে প্রতি সপ্তাহে সামরিক মহড়া করে। কুয়েনের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজকেন্দ্রিক অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম, যা দিয়ে যে কোনো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা যায়। এধরনের প্রযুক্তি জাপানের হাতে থাকায় এটি একটি শক্তিশালী সামরিক প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে। তার মতে, জাপানের নৌবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে মারাত্মক এক সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র জাপানের ওপর যুদ্ধে অংশগ্রহণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরই। ৭ ডিসেম্বর ১৯৪১-এ যে বাহিনী নিয়ে জাপান পার্ল হারবার আক্রমণ করেছিল। মজার ব্যাপার হলো যুক্তরাষ্ট্র জাপানকে তার চেয়ে কয়েকগুণ শক্তিশালী সামরিক বাহিনী তৈরি করে নিতে সাহায্য করেছে। আর এটা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার পরও। সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।