মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে, সেটা সামলাতে না সামলাতেই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যে দেশগুলোতে এই যুদ্ধের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে, তার অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মার্কিনিদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবিশ্বাস্য গতিতে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। দেশটিতে ১৯৭০-এর দশকের পর দ্রব্যমূল্য কখনো এতটা বাড়েনি। বিশেষ করে গত এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ কিংবা তারও বেশি বেড়েছে কোনো কোনো জিনিসের দাম।
ডিমের কথাই ধরা যাক। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে এক কার্টন ডিমের দাম তিন ডলারেরও বেশি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩১৩ টাকা)। অথচ ২০২১ সালের শুরুতে এর দাম ছিল দেড় ডলারেরও কম। গরু, মুরগি, মাছের দামও এভাবে বেড়েছে। মুদি দোকানে যেসব জিনিসপত্র বিক্রি হয়, গত এক বছরে সেগুলোর দাম বেড়েছে ১৩.৫ শতাংশ।
এড্ডা চার্বন নামের এক মার্কিনি বলছেন, করোনার সময় যে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা এখন কঠিনতর হচ্ছে। মহামারির সময় অর্থ বাঁচাতে মানুষ রেস্টুরেন্টে খাওয়া ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছিল। জিনিসপত্রের দামের কারণে এখন ঘরে রান্না করে খাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি-দুটি নয়, নানা কারণ মিলিয়ে পরিস্থিতি এখানে এসে পৌঁছেছে। মহামারি ও যুদ্ধের পাশাপাশি খারাপ আবহাওয়ার কারণে শস্যের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার কারণে কমে গেছে ডিমের সরবরাহ।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ যতটা যৌক্তিকই হোক না কেন, এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মার্কিনিরা আঙুল তুলছেন বাইডেন প্রশাসনের দিকে। তারা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বাইডেন। আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলে এর প্রভাব পড়তে পারে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।