পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক পরিবহন আইন পাসের চার বছর পূর্ণ হলেও তা বাস্তবায়নে বিধিমালা তৈরি হয়নি। ফলে সড়ককে নিরাপদ করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও আইনের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর অধীনে বিধিমালা দ্রæত জারি করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, চার বছরেও সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা তৈরি হয়নি। একটি গোষ্ঠী শুরু থেকেই আইনটিকে দুর্বল করতে চাচ্ছে। আইন সংশোধনের দাবিতে তারা আন্দোলনও করেছে। আইনটি কার্যকর করতে হলে দ্রæত বিধিমালা করা প্রয়োজন।
বেসরকারি সংগঠনগুলো গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করে। এ সবই সেকেন্ডারি তথ্য, পূর্ণাঙ্গ তথ্য নয়। সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব বেসরকারি সংগঠনের না। এ প্রতিবেদন সরকারের করা উচিত। দীর্ঘদিন ধরে বলা হলেও সরকার এ প্রতিবেদন তৈরি করছে না। সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মানুষের মৃত্যু, পঙ্গুত্ব ও অসুস্থতা এবং সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি লাঘবের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ এবং এর সদস্যভুক্ত প্রায় প্রতিটি দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ সড়কের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ইলিয়াস কাঞ্চন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্র্যাকের রোড সেইফটি প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক খালিদ মাহমুদ। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইন পাস হয়। বহুল আলোচিত এ আইন পাস হওয়ার চার বছর পূর্ণ হলেও তা বাস্তবায়নে বিধিমালা তৈরি হয়নি। ফলে সড়ককে নিরাপদ করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও আইনের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলশ্রæতিতে সড়কে প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না শৃঙ্খলা, বাড়ছে মৃত্যু।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকার তার সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সহায়তায় সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় এর সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সড়ক দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা বহুমাত্রিক হওয়ায় সরকারের একার পক্ষে তা নিরসন করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও কার্যকর উদ্যোগ। এরই ধারাবাহিকতায় অর্থাৎ জাতিসংঘ ঘোষিত সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট এসডিজির লক্ষ্য ৩ দশমিক ৬ ও ১১ দশমিক ২ পূরণের নিমিত্ত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহের পাশাপাশি দেশের কিছু কার্যকর স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও এনজিও সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে চলতি বছরের শুরুতে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ নামে যৌথ প্রচেষ্টার শুরু হয়। এর সদস্য সংস্থাগুলো হলো নিরাপদ সড়ক চাই, ব্র্যাক, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বুয়েট), বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ অর্থপেডিক সোসাইটি, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন এবং ই¤েপ্রসিভ কমিউনিকেশন লিমিটেড।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গেøাবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিবিউটরের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম, কোয়ালিশনের সদস্য সংস্থার পক্ষ থেকে ব্র্যাকের রোড সেইফটি প্রোগ্রাম পরিচালক আহমেদ নাজমুল হুসেইন, বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিচার্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. হাদিউজ্জামান, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মাহফুজুর রহমান ভ‚ঁইয়া, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) পরিচালক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর রেজওয়ান নবীন, ইমপ্রেসিভ কমিউনিকেশনস লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিবুজ্জামান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।