Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউক্রেনের চার প্রদেশ রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত

ডিক্রিতে স্বাক্ষর পুতিনের ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান চলমান থাকবে : ক্রেমলিন ষ মুক্ত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা দেবে রাশিয়ার রিজার্ভ সেনা ষ কিয়েভের থেকে নিরাপদ রাখতে মুক্ত অঞ্

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল অভিযানরত রুশবাহিনী ও রুশভাষী স্বাধীনতাকামীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের চার প্রদেশ খেরসন, জাপোরিজিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক। গতকাল শুক্রবার মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে এক উৎসবমুখর পরিবেশে এ চার প্রদেশের নেতৃবৃন্দ রাশিয়ায় যোগদান সম্পর্কিত নথিপত্রে স্বাক্ষর করেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

স্বাক্ষর সম্পন্ন পর রেড স্কয়ারের মঞ্চে উঠে পুতিন বলেন, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজিয়ার জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ থেকে তারা সবাই রাশিয়ার নাগরিক। আমরা তাদের সবাইকে রাশিয়ান ফেডারেশনের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, রাশিয়ার আইনসভাও এ ৪ প্রদেশকে সমর্থন করবে এবং এসব প্রদেশে বসবাসকারী লোকজনকে সাদরে বরণ করে নেবে। দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিজিয়ার লাখ লাখ মানুষের ইচ্ছে এবং স্বপ্ন এ যোগদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও এবং রাশিয়ার আইনসভা- ডুমা (নিম্নকক্ষ) ও ফেডরেশন কাউন্সিল (উচ্চকক্ষ) সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আবেগের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দ্ব›েদ্বর জেরে চলতি বছর ২৬ ফেব্রæয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশবাহিনী। পুতিন স্বয়ং এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার রুশ সেনা। শুক্রবার বক্তব্য প্রদানের আগে অভিযানে নিহত রুশ সেনাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন পুতিন ও ইউক্রেনের চার প্রদেশের নেতারা। বক্তব্যের শুরুতেও ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্মান জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, প্রিয় বন্ধু ও সহকর্মীরা, আজ আমি সম্মান জানাতে চাই আমাদের সেনা সদস্যদের, যারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে মাতৃভ‚মির মর্যাদা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই করছে। আমি সম্মান জানাতে চাই আমাদের সেনা সদস্যদের বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানদেরও। মাতৃভ‚মির জন্য তারা যথেষ্ট ত্যাগ স্বীকার করছেন এবং তারা জানেন, আমরা কী জন্য লড়াই করছি।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ‘লোভী’ ও ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ উল্লেখ করে পুতিন বলেন, রাশিয়ার সমৃদ্ধি পশ্চিম সহ্য করতে পারে না। এ কারণে তারা সবসময়ই চায় রাশিয়া ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাক এবং আমরা যেন তাদের সামনে নতজানু হতে বাধ্য হই। রাশিয়াকে নিজেদের উপনিবেশ বানাতে চায় পশ্চিমারা, আর আমাদেরকে বানাতে চায় তাদের দাস। ইউক্রেনকে সামনে রেখে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার যে হাইব্রিড যুদ্ধ চালাচ্ছে, সেটিও তাদের এ দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনার অংশ। কিন্তু তারা কখনও সফল হবে না। কারণ রাশিয়ার জনগণ দেশপ্রেমিক ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। অতীতেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমের যাবতীয় পদক্ষেপের জবাব দিয়েছে রুশ জনগণ, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
ইউক্রেনকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আলোচনায় ফিরে আসার আহŸানও জানান পুতিন। তবে সেইসঙ্গে তিনি বলেন, লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিজিয়া ও খেরসনের জনগণ নিজেদের ইচ্ছায় রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এবং তাদের আকাক্সক্ষার প্রতি রাশিয়া অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং শান্তি আলোচনায় যদি এসব অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করার সুযোগ আর ইউক্রেনের নেই। এই চার প্রদেশ এখন থেকে রাশিয়ার অংশ।
এর আগে গণভোটের সিদ্ধান্তের পর ইউক্রেন থেকে মুক্ত হওয়া খেরসন এবং জাপোরিজিয়া অঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ বলে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ বিষয়ে একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরিজিয়া এবং খেরসনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার স্বীকৃতির আদেশ দিচ্ছি।’
সম্প্রতি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণের জাপোরিজিয়া ও খেরসনে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বিপুল জনতা রাশিয়ার সাথে যোগদানের পক্ষে সমর্থন জানায়। অঞ্চলগুলোয় অনুষ্ঠিত ভোটে প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দেয়। যার প্রেক্ষিতে জাপোরিজিয়া এবং খেরসনকে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দিলেন পুতিন। এর আগে গত ফেব্রæয়ারিতে ডোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন পুতিন। গতকাল গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের জর্জিয়া হলে নতুন অঞ্চলগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট এই অঞ্চলগুলোকে সংযুক্তিকরণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। এ উপলক্ষে ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে একটি কনসার্টেরও আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ।
সংযুক্তিকরণের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল তার জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের এক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। তাদের পক্ষ নিয়ে গতকাল জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসে বলেছেন, ইউক্রেনের অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তি জাতিসংঘের আইনের পুরোপুরি লঙ্ঘন এবং আইনগত বৈধতা নেই।
ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করছে ইউক্রেন : প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের চারটি প্রদেশকে সংযুক্ত করার রাশিয়ার দাবির প্রতিক্রিয়ায় একটি ত্বরিত প্রক্রিয়ার অধীনে ইউক্রেন আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটো সদস্যতার জন্য আবেদন করছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ন্যাটোতে দ্রæত যোগদানের জন্য ইউক্রেনের অনুরোধে স্বাক্ষর করে আমাদের সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি’। তিনি লিখেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, আমরা ইতোমধ্যে ন্যাটোতে আমাদের পথ তৈরি করেছি। আমরা ইতোমধ্যেই অ্যালায়েন্স স্ট্যান্ডার্ডের সাথে আমাদের সম্মতি প্রদর্শন করেছি’।
‘এটি ইউক্রেনের জন্য বাস্তব - যুদ্ধক্ষেত্রে এবং আমাদের মিথস্ক্রিয়া সব দিক থেকে বাস্তব। আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করি, একে অপরকে সাহায্য করি, একে অপরকে রক্ষা করি। এটি একটি ডি ফ্যাক্টো জোট। আজ, ইউক্রেন এটিকে বৈধ করার জন্য আবেদন করছে’। ন্যাটো বা জোটের মহাসচিবের তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফেব্রæয়ারি মাসে মি. জেলেনস্কি ন্যাটোতে যোগদানের জন্য তার দেশের উচ্চাকাক্সক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন। এটি এমন একটি আকাক্সক্ষা যা ২০১৯ সাল থেকে ইউক্রেনের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু গত মার্চে, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু হলে, মি. জেলেনস্কি পিছু হটেন।
প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ন্যাটো স¤প্রসারণকে তাদের অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা রাশিয়াকে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্রের দোরগোড়ায় আটকে রাখবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান চলমান থাকবে : ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, মস্কো তার বিশেষ সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিচ্ছে কারণ কিয়েভ সরকার কোনো আলোচনায় বসতে রাজি নয়। ‘ইউক্রেনীয় পক্ষ বারবার প্রকাশ্যে কোনো আলোচনায় বসতে অসম্মতি জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেয়া হয়েছে,’ তিনি বলেছিলেন। ক্রেমলিনের কর্মকর্তা আরও বলেছেন যে, রাশিয়ার দাবি এবং বিশেষ অভিযানের লক্ষ্য অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় কিয়েভ আলোচনার পথ সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করেছে।
মুক্ত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা দেবে রাশিয়ার রিজার্ভ সেনা : রাশিয়ার আংশিক সামরিক সমাবেশের অধীনে নিয়োগ পাওয়া সংরক্ষিত সেনাদেরকে ইউক্রেন থেকে সম্প্রতি মুক্ত হওয়া অঞ্চলগুলোতে মোতয়েন করা হচ্ছে। তাদের দায়িত্ব হবে সেখানকার নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
‘সংঘবদ্ধ সংহতির পরে সংরক্ষিত এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা কর্মরত সামরিক ইউনিটগুলিকে মুক্ত করা অঞ্চলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষা করতে হবে। তাদেরকে রিজার্ভ এবং শক্তিবৃদ্ধির ক্ষমতায় কাজ করার জন্য নিয়োগ করা শুরু হবে,’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। স্বতন্ত্র ক্র্যাশ কোর্সের পর, সংগঠিত সংরক্ষিতরা প্লাটুন এবং কোম্পানি (ব্যাটারি) পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। ইউনিট সংহতির প্রক্রিয়ায়, তারা যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং অস্ত্র পরিচালনার পাশাপাশি স্ট্যান্ডার্ড আগ্নেয়াস্ত্র এবং যুদ্ধ যান, যেমন ট্যাংক, সাঁজোয়া কর্মী বাহক এবং যান্ত্রিক পদাতিক যুদ্ধ যান, কামান এবং বিমান ব্যবহার করে পোলিশ ফায়ারিং দক্ষতা অর্জন করবে।
কিয়েভের থেকে নিরাপদ রাখতে মুক্ত অঞ্চলগুলোর সীমানা বাড়াতে হবে : খেরসন অঞ্চলের সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের উপ-প্রধান কিরিল স্ট্রেমাসভ বলেছেন, খেরসন ও জাপোরোজিয়া অঞ্চল এবং ডোনেৎস্ক ও লুহানস্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হল নিয়ন্ত্রণ রেখা আরও সম্প্রসারণ করা যাতে মার্কিন-নির্মিত এমএলআরএস রকেটগুলি এই অঞ্চলগুলিতে পৌঁছাতে না পারে। গতকাল বার্তা সংস্থা তাসকে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘আমরা যদি খেরসন ও জাপোরোজিয়া অঞ্চল এবং ডিপিআর ও এলপিআরকে রক্ষা করতে চাই তবে যুদ্ধ রেখা ইউক্রেনের আরও ভেতরের দিকে ঠেলে দেয়া প্রয়োজন।’ তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মার্কিন-তৈরি হিমারস রকেটের সর্বোচ্চ পরিসর ৩০০ কিলোমিটার, তাই এখন যদি আমরা কেবল বেলগোরোড অঞ্চল এবং ক্রিমিয়াতেই রাশিয়ার সীমান্ত নিরাপদ রাখতে না চাই, তবে আমাদের দূরবর্তী অঞ্চলে সীমান্ত যেতে হবে।’ স্ট্রেমাসভের মতে, এর জন্য বিশেষ করে নিকোলায়েভ এবং ওডেসা অঞ্চলকে মুক্ত করতে এবং সাধারণভাবে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে হবে।
লিমান শহরকে দুই দিক থেকে ঘিরে রেখেছে কিয়েভের সেনা : ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের প্রধান ডেনিস পুশিলিন শুক্রবার বলেছেন যে, শত্রæরা ডিপিআর-এর গুরুত্বপূর্ণ লিমান শহরকে দুই দিক থেকে ঘেরাও করে রেখেছে। তবে মিত্র বাহিনী লুহানস্কে যাওয়ার প্রধান সড়কের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। ‘বর্তমানে, ক্র্যাসনি লিমান অর্ধবেষ্টিত। লুহানস্কে সোয়াতোভো যাওয়ার রাস্তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে সেখানেও হামলার চেষ্টা করা হচ্ছে,’ তিনি টেলিগ্রামে রিপোর্ট করেছেন।
ডিপিআর নেতা আরও বলেছিলেন যে, ক্রাসনোলিমানস্কি জেলার ইয়ামপোল এবং ড্রবিশেভোর বসতিগুলির এলাকায় পরিস্থিতি কঠিন, যেখানে শত্রæরা প্রচুর সেনা পাঠিয়েছিল। ‘ইয়ামপোল এবং ড্রবিশেভো সম্পূর্ণরূপে আমাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। আমাদের ছেলেরা যুদ্ধ করছে, আমরা রিজার্ভ সেনা পাঠাচ্ছি, আমাদের অবশ্যই মাটি ধরে রাখতে হবে, কিন্তু শত্রæরাও প্রচুর সেনা পাঠিয়েছে,’ তিনি বলেছিলেন। ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র গঠনগুলি আমাদের ঐতিহাসিক ঘটনাকে কলঙ্কিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে,’ রাশিয়ার সাথে ডিপিআর, এলপিআর এবং খেরসন ও জাপোরোজিয়া অঞ্চলের একীকরণের কথা উল্লেখ করে পুশিলিন বলেছেন। ‘এটি খুবই অপ্রীতিকর খবর, কিন্তু আমাদের অবশ্যই পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে হবে এবং আমাদের ভুলগুলো থেকে উপসংহার টানতে হবে। আমরা সবকিছু কাটিয়ে উঠব,’ তিনি প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন।
রাশিয়ান গোয়েন্দারা ইউক্রেনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছে : ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের সময় রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসভিআর) অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ান সামরিক কর্মীদের সাহায্য করবে এমন তথ্য পাওয়ার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, এসভিআর পরিচালক সের্গেই নারিশকিন একটি বৈঠকের ফাঁকে মিডিয়ার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় বলেছিলেন।
গতকাল মস্কোতে সিআইএস’র সদস্য দেশগুলোর নিরাপত্তা পরিষেবা প্রধানদের বৈঠকে নারিশকিন বলেন, ‘ফরেন ইন্টেলিজেন্সের কাজ হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক নীতির সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা। এই কাজটি ইউক্রেনের ভ‚খÐের সঙ্কটের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে। আমরা অবশ্যই আমাদের কাজের জন্য সবকিছু সমন্বয় করছি। কৌশলগত তথ্য প্রাপ্তির পাশাপাশি অপারেটিভ এবং সামরিক তথ্য সংগ্রহের দিকেও দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে, যা আমাদের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয় অর্জনে সহায়তা করবে।’ সূত্র : তাস, আল-জাজিরা, রয়টার্স, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।



 

Show all comments
  • Blackboy Zahed ১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৩২ এএম says : 0
    Congratulations নেতা পুতিন
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Nazrul ১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৩৪ এএম says : 0
    যদিও আমি যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন করিনা বা রাশিয়ার পক্ষে বা বিপক্ষে কোন টাই নই । তারপর ও যুদ্ধে পরাজয়ের ইতিহাস রাশিয়ার নাই। অবশেষে নেপোলিয়ন, হিটলারের মতো নায়কদের করুণ পরিনতি হয়ে ছিল।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamrul Islam ১ অক্টোবর, ২০২২, ৭:৩৩ এএম says : 0
    পুতিনের জন্য শুভকামনা
    Total Reply(0) Reply
  • Md. zakiul islam ১ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৫৯ এএম says : 0
    আমাদের দেশে উন্মাদের অভাব নেই । এই উন্মাদ রা এক ধিকৃত এক নায়ক কে নিয়ে উল্লাস করছে । যে অজুহাত তুলে এই স্বৈরাচার ইউক্রেনে অভিযান চালালো , একই অজুহাত তুলে ভারত আমাদের দেশে যদি অভিযান চালায় , তখন এই উন্মাদেরা কি উল্লাস করতে থাকবে ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ