মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক: হিলারি ক্লিনটনের এখনো যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আইনের অধ্যাপক লরেন্স লিজিং। মিডিয়ামে লেখা একটি নিবন্ধে হিলারির এখনো পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগের কথা লিজিং উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক লিজিং। তিনি লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্টে ভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এখনো হিলারির পক্ষে আসবে। কেন না হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে ২.৬ মিলিয়ন বেশি পাবলিক ভোট পেয়েছেন। মার্কিন আইনের এ অধ্যাপক মনে করেন, জনগণের ভোটে জয়ী হয়েও নির্বাচনে পরাজয় অসাংবিধান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া জটিল। জনগণ সরাসরি হেড অব দ্য স্টেট হিসেবে নির্বাচিত করলেও কেবল অঙ্গরাজ্যের পক্ষে ইলেকট্রোরাল ভোটাররা তাদের পছন্দ মতো বিজয়ী বেছে নেন। আইন বিশারদরা একমত যে এটি অবৈধ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ‘এক জন, এক ভোট’ এর বিধান রয়েছে। বর্তমানে যে পদ্ধতি চলছে তাতে সংবিধানের নীতি পুরোপুরি অনুসরণ করা হচ্ছে না। মার্কিন জনগণের ২.৬ মিলিয়ন ভোটে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি। তবে নভেম্বরে তিনি ইলেকট্রোরাল কলেজ ভোটে হেরেছেন। মিডিয়ামে লেখা নিবন্ধে লিজিং জর্জিয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, হিলারি ৪৪ শতাংশ ভোট পেলেও ট্রাম্প এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন। কারণ এই অঙ্গরাজ্যের ৬ জন প্রতিনিধি তাকে ভোট দেননি। ইলেকট্রোরাল কলেজ তাকে ভোট না দেওয়ার কারণে পুরো ফলাফল ট্রাম্পের অনুকূলে চলে যায়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লিজিং ২০০০ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে লিখেন, ওই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ডেমোক্রেট প্রার্থী আল গোরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশ জয়ী হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ভোট পুনগণনা করে আল গোর জয়ী হয়। হিলারির ক্ষেত্রেও এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। যদি তার দল সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে। তবে হিলারির দল তা কখনো করতে পারবে না কারণ তারা ভীরু। নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ার মতো বড় বড় অঙ্গরাজ্যেগুলোর এটর্নি জেনারেলদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কেন সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হচ্ছে না। তাদের উচিৎ এই অসাংবিধান বিষয়টির শুনানি করা। কেন তারা তাদের ভোটাদের সরাসরি ভোটের অধিকার হরণ করছেন। তারা কেন সাম্যতার ভিত্তিতে অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল নিরুপণ করে না। সূত্র: ইন্ডেপিডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।