পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া তুরস্কের সশস্ত্র ড্রোন কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু একথা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তুরস্কের প্রতিরক্ষা কোম্পানি বায়কার-এর নির্মিত ড্রোন কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। তুরস্কের এই কোম্পানিটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের কাছে সশস্ত্র ড্রোন বিক্রি করেছে। সিরিয়া, ইউক্রেন ও লিবিয়াতে ড্রোনটির সাফল্যের পর চাহিদা বেড়েছে। স¤প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০টি ড্রোন কিনেছে। সউদী আরবও এই ড্রোন কিনতে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। জাপানের টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এশিয়ার কয়েকটি দেশ, বিশেষ করে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া আমাদের প্রতিরক্ষা শিল্পের পণ্যের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে। মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, জাপানের ড্রোনের প্রয়োজনীয়তা আমরা আনন্দের সঙ্গে পূরণ করব। অপরদিকে, ইরানি ড্রোন ব্যবহার করে রুশ হামলা মোকাবিলার উপায় খুঁজছে ইউক্রেন। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সা¤প্রতিক দিনগুলোতে এসব ড্রোন ব্যবহার করে বন্দরনগরী ওডেসায় পাঁচ দফায় হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ওডেসা অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক বলেছেন, রাশিয়া ‘টানা কয়েক দিন ধরে’ ইরানের তৈরি শহিদ-১৩৬ কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, শত্রæ তার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, বিভিন্ন ক্যালিবারের ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছে। কেননা, এই ড্রোনগুলো অনেক সস্তা। সেরহি ব্রাচুক বলেন, কখনও কখনও জোড়ায় জোড়ায় ড্রোন নিয়ে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। একটা সময়ে তারা একযোগে এমন বেশ কয়েকটি কামিকাজে ড্রোন নিয়ে হামলে পড়তে পারে। রয়টার্স, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।