পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলাতে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ার আহŸান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ৭ দলের নতুন এই রাজনৈতিক জোট। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদে মঞ্চের নেতারা এই ঘোষণা দেন।
গণতন্ত্র মঞ্চ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে ফ্যাসিবাদ হটাও, শাসনব্যবস্থা বদলাও এবং জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি রুখে দাঁড়ানোর আহŸান শীর্ষক এই বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান এবং সমাবেশ পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, আমাদের এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়। এই আন্দোলন একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। সরকার জনগণকে জিম্মি করে গ্যাস তেলের দাম বাড়িয়ে এখন গ্যাস-পানির দাম বাড়ানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই সরকার টিকে আছে তার হেলমেট বাহিনী, রক্ষীবাহিনী এবং গুম-হত্যা করে। গণতন্ত্র মঞ্চ এই সাত দল; এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আমাদের সবাইকে এদের বিরুদ্ধে একসাথে লড়তে হবে।
সাইফুল হক বলেন, এই সরকার কি দেশ চালাতে পারছে? এই সরকার নির্বাচিত সরকার না। এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে মানুষ তার জানমাল নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষ ভোট দিতে পারবে না, ভোটকেন্দ্রেও যেতে পারবে না। এই সরকারের অধীনে দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যতও নাই। গণতন্ত্র মঞ্চ রাজপথে নামার আগে সরকারি দলের বেসামাল পরিস্থিতি। তাদের হাঁটুকাঁপা শুরু হয়েছে, বুকে দুরু দুরু শুরু হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা ভোট ডাকাত, চোর, লুটেরা; এরা জনগণের সাথে প্রতারণা করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা (গণতন্ত্র মঞ্চ) এই গণবিরোধী সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা। দেশে যাতে আইনের শাসন থাকে সে-রকম একটি সমাজ নির্মাণ করা। তখনকার রাষ্ট্র তখনকার সমাজ এই লুটেরা সরকারের বিচার করবে। ন্যায্যতা, সামাজিক মূল্যবোধ, সামাজিক ন্যায়বিচারের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এই সরকারকে উচ্ছেদ করা ছাড়া সেই বিনির্মাণ সম্ভব নয়। আসুন, সকলে মিলে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগঠিত করি।
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশের মানুষ আজ বাঁচবে কি বাঁচবে না এমন একটি লড়াই আমাদের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে। এই দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে এই কুখ্যাত স্বৈরাচারী, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ভোটডাকাতির সরকার মধ্যরাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে নাভিশ্বাস পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই মানুষের জীবন নাকাল, সেই নাকাল জীবনকে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি হবে- গণতন্ত্র মঞ্চ দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটাবে। বর্তমান সরকার মানুষকে খুন ও গুম করেছে, মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নাগরিকদের প্রাথমিক মর্যাদা তার ভোটের অধিকারটুকুও কেড়ে নিয়েছে। মিথ্যাচার করে তারা গদি রক্ষা করতে চায়। যারাই বাংলাদেশে ভোট চুরিকে জায়েজ করবেন তারাই ইতিহাসের শত্রæ। তারা বাংলাদেশের মানুষের শত্রæ। আমরা জনগণের স্বার্থে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিদিন লড়াই করছি। আর ৫২ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশটাকে লুটপাটের দুর্গে পরিণত করেছে। রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগই পরিত্যাক্ত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।