Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোপন করছে কিয়েভ, যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যস্ত ইউক্রেনীয় সেনারা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:২৬ পিএম

সম্প্রতি ইউক্রেনের দক্ষিণে কিয়েভের সেনাদের আক্রমণ ছিল সবচেয়ে প্রত্যাশিত সামরিক পদক্ষেপ। কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এর পূর্বাভাস দিয়ে আসছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল উপকূল বরাবর একটি কৌশলগত অঞ্চল থেকে রাশিয়ানদের পিছনে ঠেলে দেয়া, বিধ্বস্ত নাগরিকদের আস্থা বৃদ্ধি করা এবং মিত্রদের কাছে প্রমাণ করা যে, ইউক্রেন পশ্চিমাদের সরবরাহকৃত অস্ত্র কাজে লাগাতে পারছে।

কিন্তু সামগ্রিকভাবে, উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণে একটি ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাশালী ও জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক সরেজমিন প্রতিবেদনে উঠে এনেছে সেখানকার বাস্তব অবস্থা। তারা কয়েক ডজন কমান্ডার, সাধারণ সৈন্য, চিকিৎসক, গ্রামের নেতা এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের সাক্ষাতকার নিয়েছেন যারা সম্প্রতি সংঘর্ষের অঞ্চল থেকে পালিয়ে গেছেন। তারা যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা কিয়েভ সরকারের চালানো প্রচারণার বিপরীত। তারা বলছে, লড়াইটি ইউক্রেনীয় সেনাদের গ্রাস করছে, তাদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বাড়ছে এবং সম্ভবত এ মুহূর্তে এটি ইউক্রেনের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক যুদ্ধ।

দখলকৃত এলাকাগুলোতে রাশিয়ান বাহিনী সুবিধাজনক অবস্থান নিয়ে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে। এ সপ্তাহান্তে, ক্রেমলিন সেসব এলাকা পাকাপোক্তভাবে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করার জন্য গণভোট আয়োজন করেছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, হামলা ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। অক্টোবরের বৃষ্টিপাতে সেখানকার রাস্তাগুলো তলিয়ে যাওয়ার আগে তারা এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করার জন্য দৌড়াচ্ছে। শীত আসার আগেই মিত্রদের কাছে তাদের প্রমাণ করতে হবে যে, তারা রাশিয়ানদের বাইরে ঠেলে দিতে পারে।

ইউক্রেনীয় সরকার সাধারণত হতাহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করে না, তবে গত সপ্তাহে সাক্ষাতকার দেয়া সৈন্য এবং কমান্ডাররা যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষয়ক্ষতিকে ‘উচ্চ’ এবং ‘বিশাল’ হিসাবে চিত্রিত করেছেন। তারা বড় ধরনের একটি আক্রমণের বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে ইউক্রেনীয় ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যানের বিশার এক বহর খোলা মাঠ অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিল। শুধুমাত্র মাইন ও আর্টিলারি দিয়ে নির্দয়ভাবে আঘাত করে পুরো বহর উড়িয়ে দিয়েছিল রুশ সেনা।

প্রকাশ্যে হতাহতের বিষয়ে আলোচনা করা নিষেধ থাকায় নাম গোপণ করে একজন ইউক্রেনীয় সৈন্য বলেছেন যে, সাম্প্রতিক হামলার সময়, ‘আমরা দুই ঘন্টার মধ্যে ৫০ জন লোককে হারিয়েছি।’ বিভিন্ন ফ্রন্টলাইন ইউনিটের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অপর এক সৈনিক বলেছেন, ছোট একটি গ্রাম দখল করার চেষ্টা করার সময় ‘শতশত’ ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত বা আহত হয়েছিল, অথচ গ্রামটি এখনও রুশ সেনাদের হাতে রয়েছে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ