মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাঠিয়েছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী জ্যাভেলিন মিসাইল। তবে সেই অস্ত্র ডার্ক ওয়েব বা ইন্টারনেটের খারাপ জগতে বিক্রি করে দিচ্ছে ইউক্রেনের ভুয়া অস্ত্র ব্যবসায়ীরা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ তুলেছে। মস্কো বলছে, এর মাধ্যমে খুব সহজে অত্যাধুনিক এসব অস্ত্র চলে যাবে সন্ত্রাসী বা জঙ্গিদের হাতে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ডার্ক ওয়েবে দেওয়া বিজ্ঞাপন দেখে অনুসন্ধানে নামে বিবিসি। অস্ত্র বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া ভুয়া অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্রেতা হিসেবে যোগাযোগও করে বিবিসি। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী একটি জ্যাভেলিন মিসাইল বিক্রির জন্য চাওয়া হয় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
অনলাইনে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা জানান, ইউক্রেন পোল্যান্ড সীমান্তে বা বিশ্বের যে কোনো দেশে অস্ত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করা যাবে।
তবে আগেই পাঠিয়ে দিতে হবে অস্ত্রের দাম। এ বিষয়ে গত ২ জুন ‘এএসবি মিলিটারি নিউজ’ নামে একটি টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম থেকে অস্ত্র বিক্রির বিভিন্ন তথ্য পোস্ট করা হয়।
অস্ত্র বিক্রেতাদের দাবি, ইউক্রেন থেকে গত কয়েক মাসে অন্তত ৩২টি লেনদেন সম্পন্ন করেছেন তারা। সবগুলো অস্ত্রই পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
লেনদেনের ক্ষেত্রে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করেন পোল্যান্ড, রুশ এবং ইউক্রেনের ভাষা। তবে অন্যদের ভাষা বোঝার জন্য তারা ব্যবহার করেন গুগল অনুবাদ।
বিবিসি বলছে, অস্ত্র বিক্রির বিজ্ঞাপনে যেসব ছবি দেওয়া হয়েছে তার বেশির ভাগই কয়েক বছর আগের। বিশেষ করে সিরিয়ায় অভিযান চালানোর সময় এসব অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছিল। ছবিতে দেখা যায় ২০১৪-১৫ এবং ২০১৮ সালে অস্ত্রগুলোর ছবি তোলা হয়।
রাশিয়ার এই অভিযোগের বিষয়ে অবশ্য ইউক্রেন এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। আর আদৌ বাস্তবে কোনো অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটাও যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে তৎপরতা দেখাচ্ছে ভুয়া অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। ধারণা করা হচ্ছে, ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে একটি চক্র। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।