নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ইউনেক্স-সানরাইজ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জে স্বাগতিক বাংলাদেশের আশা এখন মিশ্র দ্বৈতেই। আসরের সব ইভেন্ট থেকেই লাল-সবুজের শাটলাররা বিদায় নিলেও মিশ্র দ্বৈতে টিকে আছে এনায়েত-নাবিলা ও তুষার-ইরিনা জুটি। এ দুই জুটি ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ব্যাডমিন্টনের আন্তর্জাতিক কোনো আসরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা সাফল্য মিশ্র দ্বৈতের শেষ চারে খেলা। ২০১১ সালে ইউনেক্স-সানরাইজ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জের মিশ্র দ্বৈতে এনায়েত-এলিনা জুটি সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা পেয়েছিলো। এরপর শুধুই ব্যর্থতা। কোনো আসরেই প্রথম কিংবা দ্বিতীয় রাউন্ড টপকানোই ছিলো বাংলাদেশী শাটলারদের জন্য স্বপ্ন। এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আলো ছড়াচ্ছেন সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এনায়েত উল্লা খান। ইউনেক্স-সানরাইজ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জে যেন সাফল্য তুলে আনতে বদ্ধপরিকর তিনি। এবার এলিনা সঙ্গে না থাকলেও নাবিলা আক্তারকে নিয়ে নতুন করে জুটি বেঁধে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত এগিয়ে গেছেন এনায়েত। এই জুটিই সঙ্গে এবার আশা জাগিয়ে তুলেছে তুষার-ইরিনা জুটিও। তারাও নজর কাড়া পারফরমেন্স করে পৌঁছে গেছেন শেষ আটে। গতকাল শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে এনায়েত-নাবিলা জুটি ২-০ সেটে হারায় নেপালের দীপেশ-সুনয়না জুটিকে। এদিন নাবিলা পারফরমেন্স দেখার মতই ছিলো। আর এনায়েতের ব্যাকহ্যান্ড টেকনিক ছিল অসাধারণ। এর আগে তৃতীয় কোর্টে মিশ্র দ্বৈতে বাংলাদেশের জুমরা-রেহানা জুটি ভারতের সাতক্ষিরাজ-মনিষা জুটির কাছে এবং প্রথম কোর্টে স্বাগতিকদের মিনহাজ-বৃষ্টি জুটি নেপালের রতœজিত-নাঙ্গসাল জুটির কাছে হারলেও দ্বিতীয় কোর্টে দারুন ছন্দে ও নান্দনিকতা ছিলো তুষার কুমার রায় ও ইরিনা পারভিন রতœা জুটি। এ জুটি ২-০ সেটে নেপালের নাতিন ও জেসিকা জুটিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়।
ম্যাচ জিতে দারুণ খুশি এনায়েত। তিনি বলেন,‘আমি ২০১১ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাই। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।’ নাবিলার কথা,‘খুব ভালো লাগছে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পেরে। এনায়েত ভাই আমাকে যেভাবে বলেছিলেন আমি সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি।’
এবারের আসরে বাংলাদেশের অনেক শাটলারেরই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও ইরিনার এই প্রথম অংশ নেয়া। অথচ পাবনার এই শাটলার ব্যাডমিন্টনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন প্রায় সাতবছর ধরে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে হলে র্যাংঙ্কিয়ের মাধ্যমেই আসতে হয়। এবার ইরিনা র্যাংঙ্কিয়ে আসতে পেরেই খেলার সুযোগ পান। আর ক্যারীয়ারে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয়ের পর উচ্ছ¡সিত ইরিন বলেন, ‘এই খুশি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। প্রথম ম্যাচে বিদেশীদের বিপক্ষে খেলার সময় একটু নার্ভাস তো লেগেছেই। কিন্তু একটু পরই ঠিক হয়ে গেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।