বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিবচর (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পশুর হাটগুলো । চলতি বছর ভারত থেকে কম গরু আসায় এসব হাটে দেশীয় গরু- ছাগলের সমারোহে ভিড় করছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার বা বেপারিরা। এতে করে হাটগুলোতে গরু-ছাগলের দামও বেশ ভালো। এতে বিক্রেতারা সন্তুষ্ট হলেও ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদাই বেশি। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটগুলোতে নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
উপজেলার অধিকাংশ বৃহৎ হাটগুলোই সড়ক ও নৌপথ সুবিধাসমৃদ্ধ। ফলে শিবচরেরর পদ্মা নদী তীরবর্তী মাদবরচর হাট, আড়িয়াল খাঁ পাড়ের উৎরাইল হাট, চান্দেরচর হাটসহ বিভিন্ন স্থানে কোরবানির হাট শুরু থেকে না জমলেও গত কয়েক দিন ধরে জমে উঠেছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বসেছে আরো ২০ থেকে ২৫টি অস্থায়ী পশুর হাট। এসব হাটগুলোতে দেশীয় গরুর সরবরাহ প্রচুর। চলতি বছর ভারত থেকে গরু না আসায় এবং ঢাকার সাথে স্বল্প দূরত্বের হওয়ায় প্রথম থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকার বা বেপারিদের ভিড় দেখা গেছে এসব হাটগুলোতে। তারা হুমড়ি খেয়ে পড়েছে দেশী পশুর বিশাল এ ভা-ারগুলোতে। স্থানীয় ক্রেতারও কমতি নেই। একেটি গরু বিক্রি হচ্ছে ২৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। ছাগলের মূল্য উঠছে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ভারতের গরু কম আসায় ও পাইকারদের ভিড়ে গতবারের চেয়ে এ বছর গরু-ছাগলের দাম বেশি। মধ্যম দামের গরুর চাহিদা বেশি। বিকিকিনি ও সরবরাহে বিক্রেতারা সবাই সন্তুষ্ট হলেও হাসি কেড়ে নিয়েছে সাধারণ ক্রেতাদের।
ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও মূল্য নিয়ে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ক্রেতা আবু কালাম জানান, এ বছর হাটে গরুর দাম অনেক বেশি। বাজেট অনুযায়ী কিনতে পারিনি। তবে দেশী গরু ছাড়া বাইরের গরু নেই।
বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, এ বছর ঈদ খুব ভালো কাটবে। কারণ আমার দুইটি গরুই ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পেরেছি।
ঢাকা থেকে আসা বেপারি আহমেদ আলী বলেন, এসব হাটে গত বছর যে গরু ষাট হাজারে কিনেছি এ বছর তা আশি হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। যদি ঢাকার হাটে ভারতীয় গরু এসে পড়ে তবে চালানও ওঠাতে পারব না।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো: সরোয়ার হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পশুর হাটগুলোতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। অসাধু চক্র যাতে হাটগুলোতে জাল টাকা ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রতিটি হাটে পুলিশ নজরদারি রাখছে। জাল টাকা সরবরাহকারী কাউকে পেলে বা কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।