মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের সৌজন্যে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের তেল ও গ্যাসের সঞ্চয় গড়ে তুলেছে কাতার, সউদী আরব ও দুবাইয়ের মতো গালফ তীরবর্তী রাষ্ট্রগুলো। যার ফলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিশ্বে তাদের গুরুত্ব বাড়ছে। জীবনযাত্রার ব্যয়-সঙ্কটের সম্মুখীন হওয়া পশ্চিমা রাজনীতিবিদরাও এখন নতমস্তকে তাদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এই সপ্তাহে সউদী সফরে যাচ্ছেন। এর আগে গত জুলাই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সউদী আরবের ডি-ফ্যাক্টো শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সাথে হাত মিলিয়েছেন, যাকে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত ও নিন্দা করেছিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যে ভূ-রাজনৈতিক জোটের পুনর্র্নিমাণ হচ্ছে জ্বালানির উপর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। এটি একটি বহুমুখী বিশ্ব যেখানে আমেরিকা আর নিরাপত্তার নির্ভরযোগ্য গ্যারান্টার নয়। ফলাফল হল একটি গালফ রাষ্ট্রগুলোর উত্থান, যারা আগামী কয়েক দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ থাকবে। তবে তারা বিশ্বে স্থিতিশীলতার উৎস হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
বিশ্বজুড়ে জ্বালানী সঙ্কটের প্রতিক্রিয়ায় সউদী আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে তেল ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। কাতারও আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উত্তরে গ্যাস উত্তোরন ক্ষেত্র প্রসারিত করতে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী লেনদেন হওয়া সমস্ত এলএনজির ৩৩ শতাংশ যোগান দেয়ার।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে, উপসাগরীয় দেশগুলো আগামী দশকগুলোতে বিশ্বে ততটা গুরুত্বপূর্ণ থাকবে যেমনটি তারা ২০ শতকের দিকে ছিল। তেল এবং গ্যাসের ক্ষেত্রে তাদের থেকে ইউরোপে পরিমাণ ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০ শতাংশের বেশি হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১৯৮১ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ, আঞ্চলিক জিডিপি ৬০ শতাংশ এবং আরও বাড়বে।
তাদের ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলারের জ্বালানি রিজার্ভ এবং সার্বভৌম সম্পদ আরও বৃদ্ধি পাবে যার বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগও বাড়বে। যেমন কাতার ইতিমধ্যে বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পোর্শেতে বিনিয়োগ করেছে। কূটনীতিকরা মনে করেন যে, হর্ন অফ আফ্রিকাতে আমিরাত যেভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করেছে, সেভাবেই উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের নিকটবর্তী অঞ্চলের বাইরে আরও প্রভাব বিস্তার করবে। সূত্র : দ্য ইকোনমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।