মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবার হুমকি দিল রাশিয়া। আচমকা নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মস্কো বলেছে এটি আন্তর্জাতিক চার্টারের বিরোধী। নোট বাতিলজনিত কারণে ভারতে রাশিয়ার দূতাবাসের দৈনন্দিন খরচ চালানোই এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মস্কোর কয়েকটি সূত্রে প্রকাশ, অবিলম্বে পরিস্থিতি পরিবর্তন না হলে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে রাশিয়া প্রতিবাদ জানাতে পারে। অবিলম্বে ভারতে নোট সমস্যা মেটানো না হলে রাশিয়ায় ভারতীয় দূতাবাস কর্মীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাদের নগদ টাকা তোলার পরিমাণও বেধে দেয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র নীতিতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়া নজিরবিহিনীভাবে কূটনৈতিক স্তরে বিষয়টি তুলে ধরায় এবং ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেয়ায় কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের কাছে তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ইউক্রেন এবং কাজাখস্তানের দূতাবাস থেকেও নোট বাতিলজনিত সমস্যা নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার কাদাকিন গত ২ ডিসেম্বর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে সাফ জানিয়েছেন, সপ্তাহে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের পক্ষে দূতাবাস চালানো সম্ভব নয়। দিল্লির মতো জায়গায় এত কম টাকায় কীভাবে এত বড় দূতাবাস চালানো সম্ভব সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। দিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসে কমপক্ষে ২০০ কর্মী থাকায় নোট বাতিলজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, সমস্ত বিধিনিষেধ পেরিয়ে যে টাকা তাদের হাতে এসে পৌঁছাচ্ছে তাতে একটা নৈশ ভোজের খরচও ঠিকমত চালানো যাচ্ছে না। নোট বাতিলজনিত উদ্ভূত সমস্যার জেরে সবার আগে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখে নয়াদিল্লিস্থ পাক হাইকমিশন হুঁশিয়ারি দিয়ে অন্যদের পথ দেখিয়েছে। তাদের দাবি, কর্তৃপক্ষকে হস্তক্ষেপ করে ব্যাংকের দেয়া শর্ত প্রত্যাহার করতে হবে, নইলে ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের কূটনীতিক, কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত চাপানো হবে। ভারতে নয়াদিল্লিস্থ পাক দূতাবাসের দাবি, যে ব্যাংক থেকে তাদের বেতন তোলা হয় সেখান থেকে শর্ত যোগ করে বলা হয়েছে, দূতাবাসের লোকজনকে বাধ্যতামূলকভাবে অতিরিক্ত ফর্ম পূরণ করে জানাতে হবে, কীসে বেতনের অর্থ ব্যয় করা হবে। তাছাড়া তারা ডলারে যে বেতন তুলছেন, সেটা ওই ব্যাংকেই এক্সচেঞ্জ করতে হবে। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে পাকিস্তান। এনডিটিভি, দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।