মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত মিয়ানমার। সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলা এই ভয়াবহ লড়াইয়ের খেসারত দিতে হচ্ছে নিরীহ মানুষজনকে। পরিস্থিতি যে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠেছে তা স্পষ্ট করে খবর, একটি স্কুলে হেলিকপ্টার থেকে ভয়াবহ গুলিবৃষ্টি করে বার্মিজ সেনা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৬ শিশুর। আহত অন্তত ১৭।
সোমবার স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্য মিয়ানমারের সাগাইং প্রদেশের লেত ইয়েত কোনে গ্রামে হামলা চালায় ‘টাটমাদাও’ তথা বার্মিজ সেনাবাহিনী। একটি স্কুলে হেলিকপ্টার থেকে প্রচণ্ড গুলিবৃষ্টি করে সেনার হেলিকপ্টার। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ছয় শিশু। আহত আরও ১৭।
এক বিবৃতিতে সরকারি বাহিনী দাবি করেছে, একটি বৌদ্ধমঠে অবস্থিত স্কুলটিতে ঘাঁটি গেড়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি’। রয়েছে ‘পিপল’স ডিফেন্স গ্রুপ’ সংগঠনের ‘সন্ত্রাসবাদীরা’। তাদের হঠিয়ে দিতেই হামলা চালানো হয়েছে। সেনাবাহিনী আরও দাবি করেছে, তল্লাশি অভিযানের সময় জওয়ানদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জবাবে সেনা জওয়ানরা গুলি ছোঁড়েন। সেই হামলায় কয়েকজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলার পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় নিহতদের দেহ জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে সেনারা। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। নিহতদের ১১ কিলোমিটার দূরে একটি সমাধিক্ষেত্রে কবর দিয়েছে তারা। পরের দিন সেনারা আরও দু’টি মরদেহ কবর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, ওই দু’জনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে এক গ্রামবাসী বলেন, গাড়িতে নিয়ে যাওয়া কয়েকটি শিশুর শরীরের নিচের অংশ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ছিল। একটি শিশুকে মুড়িয়ে বাঁশের ঝুড়িতে রাখা হয়েছিল। স্কুলের ভেতরে রীতিমতো রক্তের পুকুর তৈরি হয়েছিল। ফ্যান, দেওয়াল, ছাদ- সব জায়গায় মাংসের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। সবমিলিয়ে একটি নারকীয় পরিবেশ তৈরি হয় সেখানে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মিয়ানমারের রাশ নিজেদের হাতে নেয় সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই সামরিক জুন্টা বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে বিদ্রোহী সংগঠনগুলি। তবে বলে রাখা ভাল, দীর্ঘদিন ধরে চিনের সীমান্তবর্তী কাচিন প্রদেশের স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে লড়াই চালাচ্ছে ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি’। গত বছর সু কি সরকারের পতনের পর সেই লড়াই আরও তীব্র করেছে তারা। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।