যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
হঠাৎ করেই বেড়েছে কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এতে। অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ায় রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই, চোখ ওঠা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এবং সতর্ক হওয়া আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চোখ ওঠা বলতে কী বোঝায়?
কনজাঙ্কটিভাইটিস বা চোখ ওঠা বলতে চোখের কনজাঙ্কটিভার প্রদাহ বা ব্যথাকে বোঝায়। কনজাঙ্কটিভা হলো আমাদের চোখের পাতার নিচে থাকা ঝিল্লির মতো পাতলা পর্দা, যা চোখের সাদা অংশ এবং চক্ষুপল্লবের ভেতর ভাগকে ঢেকে রাখে। সাধারণত ছোট বাচ্চাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে বড়রাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
চোখ ওঠা রোগের প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গ কী কী?
সংক্রমিত চোখের সাদা অংশটি গোলাপি বা লালচে হয়ে ওঠা
চোখ দিয়ে পানি পড়া
চোখে জ্বালা করা
চুলকানির ভাব হওয়া
চোখে অতিরিক্ত পিঁচুটি আসা
চোখের পাতা ফুলে ওঠা
অস্বস্তিবোধ হওয়া
চোখের ভেতর কিছু রয়েছে এমনটা মনে হওয়া
দেখতে অসুবিধা হওয়া
আলোতে চোখ টনটন করা
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতায় চটচটে পদার্থ লেগে থাকা
চোখ ওঠার কারণগুলি কি কি?
এই রোগের মূল কারণই হলো সংক্রমণ, অ্যালার্জি ও পরিবেশের যন্ত্রণা সৃষ্টিকারী পদার্থ (যেমন ধোঁয়া, বাতাস) ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠা সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ভাইরাস আক্রমণের কারণেও এটি হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময়ই ভাইরাসের কারণে চোখ ওঠে। স্ট্যাফাইলোকক্কাস, ক্ল্যামাইডিয়া ও গোনোকক্কাসের মতো ব্যাকটিরিয়া এবং ভাইরাসের কারণে এই সংক্রমণ হয়।
চোখ উঠলে বুঝবেন কী করে?
চোখ ওঠা সমস্যা দেখা দিলে চোখ অত্যাধিক লাল হয়ে যায়। কনজাঙ্কটিভার রক্তনালীগুলো প্রদাহর কারণে এমনটা হয়। এছাড়া ঘুম থেকে উঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, চোখে অস্বস্তি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, চোখের কোণায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা ইত্যাদি দেখা দিলে বুঝবেন চোখ উঠেছে।
চোখ উঠলে কী করবেন?
যেহেতু এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই রোগীকে একটু সাবধানে থাকতে হবে। চোখ উঠলে বারবার চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আক্রান্ত চোখে যেন নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে হবে। অনেকে চোখে উঠলে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন কিংবা চোখে পানির ঝাপটা দেন। যা মোটেও ঠিক নয়।
যেহেতু চোখ উঠলে আলোতে যন্ত্রণা হয়, তাই বাইরে বের হলে সানগ্লাস পরুন। এই রোগে আক্রান্ত হলে নিজের ব্যবহৃত চশমা, রুমাল, তোয়ালে, কাপড়চোপড় সব আলাদা রাখা উচিত। রোগী চোখে হাত দিলে, হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়াতে পারে। তাই বারবার পরিষ্কার করে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
এছাড়া দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ মাত্রাতিরিক্ত লাল হলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।