বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনায় বাস চাপায় দুই মটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন হাফেজ মো. শরিফুল ইসলাম (২৩) ও মোয়াজ্জিন মো. বেলাল হোসেন (২৪)। আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহানগরীর হোগলাডাঙ্গা প্রগতি স্কুলের সামনের মোড়ে বেপরোয়া টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস এর একটি বাসের চাপায় তারা নিহত হন। ঘটনার পর প্রায় ঘণ্টাখানেক খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন এলাকাবাসী।
রাজবাঁধ নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন হাফেজ শরিফুল ইসলাম ও রাজবাঁধ আয়েশাবাদ জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন ছিলেন মো. বেলাল হোসেন। নিহত হাফেজ শরিফুল ইসলাম বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার উত্তর কুমারিয়া জোলা গ্রামের মোঃ কাওছার হোসেনের ছেলে এবং বেল্লাল হোসেন রাজবাঁধ এলাকার মোঃ মোস্তফার ছেলে।
স্থানীয়রা বলেন, নিহতরা রাজবাঁধের ভিতর থেকে প্রধান সড়কে মটরসাইকেলে উঠছিলেন। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বাস সাতক্ষীরার দিক থেকে খুলনা আসছিল। এসময় বাসটি তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থানেই শরিফুল ও বেলাল নিহত হন।
আয়েশাবাদ জামে মসজিদের সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মোয়াজ্জিন বেলাল হোসেনের কিছু দিন আগে একটা চাকরি হয়েছে। সেখানে কাজের সুবাদে মটর সাইকেল চালাতে হবে। সে জন্য চালানো শিখতে বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ইমামের মটরসাইকেল নিয়ে শরিফুল ইসলাম ও বেলাল হোসেন সকালে বের হন। শরিফুল ইসলাম মটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তার পিছনে ছিলেন বেলাল হোসেন। টুঙ্গিপাড়া পরিবহন তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: এমদাদুল হক বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক বাস এখনও আটক করা যায়নি। এলাকাবাসী সড়ক অবপ্রোধ করেছিলেন। পরে তারা তা উঠিয়ে নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।