Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুদ্ধবিরতি সত্বেও কিরগিজস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে প্রায় ১০০

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৪০ এএম

মধ্য এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ কিরগিজস্তান-তাজিকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ জনে। গত বুধবার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে গত শুক্রবার যুদ্ধবিরতি হলেও রোববার রাতে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় একশো জনে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে কিরগিজস্তান-তাজিকিস্তানের মধ্যে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ দুটি প্রায়ই সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে থাকে। গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ইউএসএসআর-এর (সোভিয়েত ইউনিয়নের) পতনের পর থেকে উভয় দেশের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দেশের প্রতি তাদের মতপার্থক্য শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। মধ্য এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে ১ হাজার কিমি (৬০০ মাইল) সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বিতর্কিত। অবশ্য উভয় দেশের সাথেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ার। আর তাই মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি সহিংসতা বন্ধ করার জন্য ‘জরুরি’ ব্যবস্থা নিতে আগেই আহ্বান জানায় মস্কো।
এর আগে ২০২১ সালে উভয় দেশের মধ্যে নজিরবিহীন লড়াইয়ে প্রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত বুধবার তিনটি পৃথক ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন নিহত হওয়ার পর এই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ছড়িয়ে পড়ে। আর এই সর্বশেষ সংঘর্ষে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। যা আগের লড়াইয়ের প্রাণহানির প্রায় দ্বিগুণ।
রোববার রাতে প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধে অতিরিক্ত আরও ১৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে কিরগিজস্তান। এতে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৯ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া প্রতিবেশীর হামলায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে দেশটি।
তাজিকিস্তান বলেছে, কিরগিজস্তানের হামলায় তাদের ৩৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে, গত শুক্রবার উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর করলেও উভয় পক্ষই গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
বিবিসি বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রোববার তাজিকের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমন এবং কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভের সাথে ফোনালাপ করে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন বলে ক্রেমলিন জানিয়েছে।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন দুই নেতাকে ‘একচেটিয়াভাবে শান্তিপূর্ণ, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতির সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন।’
সহিংসতার শুরুর জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দায়ী করছে। কিরগিজস্তান সংঘর্ষে নিহতদের জন্য সোমবার দেশটিতে জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ