মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় অর্থনীতির এগোনোর পথে যে বিস্তর কাঁটা, ফের সেই ইঙ্গিত মূল্যায়ন সংস্থার সমীক্ষায়। আমেরিকার মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস জুনে বলেছিল, চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৭.৮%। বৃহস্পতিবার সেই পূর্বাভাস নামাল ৭ শতাংশে।
বৃদ্ধি নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা বলেছে মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংসও। পূর্বাভাস কমিয়ে ৬.৯% করেছে। তাদের দাবি, কোভিডের ধাক্কায় যে পরিমাণ উৎপাদন হারিয়ে গিয়েছে, তার পুনরুদ্ধারে সময় লাগবে। যদি আগামী অর্থবর্ষ থেকে জিডিপি ৭.৬% করেও বাড়ে, তবু মহামারির আগের অবস্থায় পৌঁছতে গড়িয়ে যাবে ১২ বছর। অর্থাৎ নতুন সঙ্কট না এলে ২০৩৪-৩৫ সালে পুরনো ছন্দে ফিরতে পারে অর্থনীতি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান জানিয়েছে, গত এপ্রিল-জুনে দেশে জিডিপি বেড়েছে ১৩.৫%। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ অনেকের প্রত্যাশার থেকেই এই হার কম। ফিচের দাবি, তাদের পূর্বাভাসও ১৮.৫% ছিল। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান প্রকাশের পর থেকে একের পর এক মূল্যায়ন সংস্থা চলতি অর্থবর্ষে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটতে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এটা অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়াতে আরও দেরি হওয়ারই ইঙ্গিত। ফিচ বলেছে, বৃদ্ধির গতি কমাতে পারে বাড়তে থাকা মূল্যবৃদ্ধি এবং সুদের হার। মস্ত বড় বাধা শ্লথ বিশ্ব অর্থনীতিও। ইন্ডিয়া রেটিংস মনে করছে, সরকারি খরচ বৃদ্ধির হার মন্থর হওয়া এবং রফতানি ব্যবসায় ধাক্কার কোপ পড়বে বৃদ্ধির হারে। তার উপরে সর্বত্র চাহিদা বাড়ছে না। বাড়ছে না ন্যূনতম আয়ের মানুষদের মজুরিও।
ফিচের দাবি, সুদের হার আরও বাড়াতে হবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। বছর শেষ হওয়ার আগেই তা ৫.৯ শতাংশে পৌঁছতে পারে। কারণ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণই এখন সব থকে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব অর্থনীতির আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমিয়েছে তারা। বলেছে, আগামী দিনে মন্দায় পড়তে পারে ইউরোপ এবং আমেরিকার অর্থনীতি। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।