Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আগস্টে ভারতের শিল্পোৎপাদন শ্লথ, বেড়েছে মূল্যস্ফীতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভারতের শিল্পোৎপাদন চার মাসের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। গত মাসে দেশটির উৎপাদন মাত্র ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। যদিও একই সময়ে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। টানা তিন মাস নিম্নমুখী প্রবণতার পর আবারো ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে মূল্যস্ফীতির চাপ। এ প্রবণতা রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ওপর সুদহার বাড়াতে চাপ তৈরি করছে। খবর দ্য প্রিন্ট। স¤প্রতি প্রকাশিত সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে, আগস্টে ভোক্তা মূল সূচক (সিপিআই) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ হার জুলাইয়ের ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ থেকে বেশি। দেশটিতে অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে খাদ্যশস্য এবং সবজির মূল্য বেড়ে গিয়েছে। এটি সিপিআই বাড়াতে ভ‚মিকা রেখেছে। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে ওই সময়ে গমের মূল্যস্ফীতিও দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জমিতে ধানের বীজ বপনও কমেছে। এ কারণে উৎপাদনও হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উভয় খাদ্যশস্যে এ প্রভাবের কারণেই মূল্যস্ফীতি উচ্চস্তরে থাকবে বলেও আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি টানা আট মাস ধরে ৬ শতাংশের ওপরে রয়েছে। আরবিআই মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার পদ্ধতি গ্রহণের পর দ্বিতীয়বারের মতো মূল্যস্ফীতি টানা আট মাস ধরে ৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি এ হার অতিক্রম করেছিল। এদিকে গত জুলাইয়ে শিল্প উৎপাদন সূচক (আইআইপি) বছরওয়ারি হিসাবে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে গত জুনের ১২ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় এটি শ্লথ। এ সময়ে দেশটির উৎপাদন খাত ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। বিদ্যুৎ খাতে প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৩ শতাংশ (ছয় মাসের সর্বনিম্ন)। পাশাপাশি একই সময়ে কয়লা উৎপাদন ১১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। যখন খনন খাত ৩ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। পেশাদার পরিষেবা নেটওয়ার্ক ডেলয়েট ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদ রুমকি মজুমদার বলেন, সিপিআই ও আইআইপি ডাটার বিশ্লেষণ দেখলে বোঝা যায় আরবিআইকে কতটা কাজ করতে হবে। আরবিআই কঠোর ভারসাম্যমূলক নীতি নিয়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এর কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরবিআইকে সুদের হার বাড়াতে হবে। তবে আমরা আশা করছি খাদ্য পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নতি হওয়ার কারণে ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। এদিকে, ইক্রার প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন, সেপ্টেম্বরে ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হবে। পাশাপাশি ইন্ডিয়া রেটিং জানায়, খুচরা মূল্যস্ফীতি আগামী বছরের জানুয়ারিতে ৬ শতাংশের নিচে নামবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকার এরই মধ্যে গমের আটা রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। দ্য প্রিন্ট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ