নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বায়ার্ন মিউনিখ!গত কয়েক মৌসুমে যে কোন বার্সা সমর্থকদের জন্য নিশ্চয় দুঃসপ্নের নাম।জয় ত দূরের কথা চ্যাম্পিয়নস বিগত কয়েক মৌসুমে এই জার্মান ক্লাবের বিপক্ষে বার্সার হারগুলোও এসেছে চোখ কপালের উঠার মত সব ব্যবধানে।আর খেলা যখন বায়ার্নের ঘরের মাঠে,জাভির বার্সা তখন আরো অসহায়।চ্যাম্পিয়নস লিগে এই পর্যন্ত বায়ার্নকে ঘরের মাঠে হারাতে পারেনি কাতলান ক্লাবটি। গতকালের ম্যাচে মাঠে নামার আগে বুস্কেটস-ডেম্বেলেদের বিপক্ষে সর্বশেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতেই জিতেছিল বায়ার্ন।এর এর মধ্যে সর্বশেষ তিন ম্যাচে দুই দলের গোলের ব্যবধান ১৪-২!
এত এত পরিসংখ্যান বিপক্ষে থাকার পরও গতকালের ম্যাচে ভালো কিছুর আশায় ছিলেন বার্সা কোচ জাভি হান্দানেজ।আক্রমণ,মিডফিল্ড কিংবা রক্ষণভাগ-সব জায়গায় ব্যাপক রদ বদলে পুরোপুরি পাl যাওয়া বার্সা টিম নিয়ে সপ্ন দেখছিল দলটির অগণিত ভক্তরাও।এর উপর আগের কয়েক ম্যাচে বায়ার্নের হয়ে বার্সার হৃদয় ভাঙা লেভানডফস্কিও ছিলেন দলে। দীর্ঘদিনের সতীর্থদের খেলার ধরণটা নিশ্চয়ই তার ভালোই জানা থাকার কথা, হাতের তালুর মত লেভার পরিচিত থাকার কথা ভুড়ি ভুড়ি গোল দেওয়া বায়ার্নের ঘরের মাঠও।বার্সার এত সব স্বপ্ন বাস্তব রূপ লাভ করেনি।চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে মঙ্গলবার(১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ফের একবার জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে কাতালানরা।
এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরু দেখে এমন ফলাফলের আভাস পাওয়া যায়নি। পুরো প্রথমার্ধ জুড়ে বায়ার্নের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে বার্সা। বায়ার্নের নেওয়া একটা শর্টের বিপরীতে প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট লক্ষ করে আটবার শর্ট নিয়েছেন লেভা-দেম্বেলেরা। অবশ্য এর কোনোটিই নিশানাভেদ করতে পারেনি।করতে দেননি বায়ান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ার।এর মধ্যে ২১ মিনিটে পুরনো দলের বিপক্ষে খেলতে নামা লেভান্ডফস্কির নেওয়া হেড অবিশ্বাস্যভাবেরুখে দেন বায়ার্নের অধিনায়ক নয়ার।এদিন দুর্দান্ত সব সেভে স্কোরশিট ক্লিন রাখেন এই জার্মান গ্রেট।
বিরতির পর বার্সা সমথর্করা যখন দলের আরো জোরালো লড়াই দেখার প্রত্যাশা করছিলেন,সেখানে ঘটনা ঘটে পুরো উল্টো।বল দখল আর দারুণ সব আক্রমণে উল্টো বার্সার উপর চেপে বসে বায়ার্ন।দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পায় জার্মান ক্লাবটি। কিমিখের কর্নার কিকে লাফিয়ে উঠে নেওয়া এক হেডে বার্সার গোলপোস্টে বল পাঠান লুকাস হার্নান্দেজ। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় খেলা দেখতে আসা হাজারো বায়ার্ন ভক্ত।গোল করার পর হার্নান্দেজের উদযাপনটা ছিল দেখার মত।
চার মিনিট পরই দলের হয়ে ব্যাবধান দিগুণ করেন লেরয় সানে।মাঝমাঠ থেকে দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল ডি- বক্সে এনে সানেকে পাস দেন জামাল মুসিয়েলা।আর সেটি জালে জড়িয়ে ২৬ বছর বয়সী বায়ার্ন ফরোয়ার্ড সানে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন।
বাকি সময় গোল শোধে মরিয়া চেষ্টা করে যায় বার্সেলোনা। আক্রমণের ধার বাড়াতে শেষ দিকে আনসু ফাতি আর ফ্রেংকি ডি কেসিকে নামান বার্সা কোচ।তবে তারাও গোল এনে দিতে পারেনি দলকে।শেষ পর্যন্ত বায়ার্নের বিপক্ষে আরো একবার হেরেই মাঠ ছাড়ে বার্সা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।