মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের রিজার্ভের একটি অংশ ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটি করা হবে তৃতীয় একটি পক্ষের পর্যবেক্ষণের শর্তের মাধ্যমে। সেটি হলে রিজার্ভের একটি বড় অংশ সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে দেশটির প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রথম দফায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। এ খবর দিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
খবরে জানানো হয়েছে, গত বছরের ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটির তালেবান মিলিশিয়ারা। কিন্তু বিদেশে থাকা আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ তাদেরকে ফেরত দেয়া হয়না। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা আফগানিস্তানের এই অর্থ ফ্রিজ করে রাখা হয়। পশ্চিমাদের আশঙ্কা, এত অর্থ তালেবানকে দেয়া হলে তা তারা সন্ত্রাসবাদের বিস্তারে ব্যবহার করবে।
যদিও তালেবানরা বারবার সেই অর্থ ছেড়ে দেয়ার আবেদন জানিয়েছে গত এক বছরে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়। অবশেষে সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে আফগানিস্তানের রিজার্ভ ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
আলোচনার সঙ্গে জড়িত সূত্রগুলোর বরাতে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ফ্রিজ করা সম্পদের একটি অংশ ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। ওয়াশিংটন এখন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। এ তহবিল সম্ভবত সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টসকে (বিআইএস) ছেড়ে দেয়া হবে। এ অর্থ বিতরণের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি আন্তর্জাতিক বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, এক্ষেত্রে তহবিলটি তৃতীয় পক্ষের পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার অধীনে বিতরণ করা হবে। তালেবান সরকারও জানিয়েছে, তৃতীয় পক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদের আপত্তি নেই। কি পরিমাণ অর্থ প্রথমে ছাড় পেতে পারে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানের প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলোতে আটক রয়েছে। এই অর্থ ফেরত পেলে আফগানিস্তানের ধ্বংস হয়ে যাওয়া অর্থনীতি পুনরায় গঠনে কাজে লাগানো যাবে বলে বিশ্বাস করেন পর্যবেক্ষকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।