Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের অপরাধী হিসেবে তুলে ধরার অপচেষ্টা করছে ভারত

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১:২৩ পিএম

ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ), ভারতের প্রাথমিক কাউন্টার-টেররিজম এজেন্সি মানবাধিকারের কাজকে লক্ষ্য করে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে অপব্যবহার করে সহিংসতার ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। এলএফকে-এর অনুসন্ধান অনুসারে, তাহির আশরাফ ভাট্টি হলেন কাউন্টার ইনসারজেন্ট ইউনিটের প্রধান, যেখানে তিনি অনেক সাংবাদিককে ডেকে কাশ্মীরের ঘটনা সম্পর্কে সঠিকভাবে রিপোর্ট করার দায়ে তাদের হয়রানি করেন।–দ্য ওয়ার, ফ্রন্টলাইন ডিফেন্ডারস

ভারত চারটি জেনেভা কনভেনশনে স্বাক্ষর করা একটি দেশ এবং ১৯৬০ সালের জেনেভা কনভেনশন আইনকে এর অভ্যন্তরীণ আইনে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আইনটি ভারতকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, নীতি ও চুক্তি বাস্তবায়ন ও সম্মান করতে বাধ্য করলেও ভারত তা মানছে না।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে সুরক্ষিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তার সন্দেহজনক পাল্টা-বিদ্রোহের ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনার জন্য হাইলাইট এবং চাপ অব্যাহত রাখতে হবে জাতিসংঘকে। ভারত আশঙ্কা করছে যে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরিচালিত ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি জাতিসংঘ, এর বিশেষ দূত বা প্রকৃতপক্ষে ইউরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে পারে। এইভাবে, এই অঞ্চলে মুসলমান মানবাধিকারকর্মীদের কাজকে হুমকির বিরুদ্ধে একটি পাল্টা ভিন্নমতের কৌশল নিযুক্ত করেছে ভারত। ভারত কতৃক অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সাংবাদিক এবং মানবাধিকার রক্ষাকারীদের পেশাগত কাজ রোধ করার জন্য অপ্রয়োজনীয় এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ উপায় এবং পদ্ধতি ব্যবহার করছে ভারত।

আসিফ সুলতান, খুররম পারভেজ, আহসান উন্টু, কাজী শিবলি, ইরফান মালিক, গওহরওয়ানি, ফাহাদ শাহ, সাজাদগুল এবং অন্যান্য সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহিদ রফিক, গওহর গিলানি, খুররম পারভেজ, সানাদ হাসান ও হাসানকে বিদেশ ভ্রমণে বাধা দেওয়া হয়েছে। আহমের খান, পীরজাদা আশিকসহ আরও অনেকের পাসপোর্ট অস্বীকার করা হয়। হিলাল মীর, আজহার কাদরি, শাহ আব্বাস, শওকত মোত্তা এবং পারভাইজ বুখারিসহ অনেককে স্থানীয় থানায় তলবসহ তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল। ভারত সরকার কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে জনশৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণের নামে নিরাপত্তার নামে রাষ্ট্রীয় দমনব্যবস্থাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য 'ঔপনিবেশিক' আইনশাস্ত্রের উপকরণের উপর নির্ভর করেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ