মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিড মহামারী শুরুর পর দুই বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথম দেশের বাইরে সফরে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
আগামীকাল বুধবার শি মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে যাবেন। এরপর উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশন- এর সম্মেলনে যোগ দিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন শি।
কাজাখস্তান এবং ক্রেমলিন থেকে একথা জানানো হয়েছে। চীনের পক্ষ থেকেও সোমবার সরকারিভাবে প্রেসিডেন্ট শি’র এই বিদেশ সফরের পরিকল্পনা নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সহযোগী ইউরি উশাকভ গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সম্মেলনে দুই নেতা বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত রাশিয়া যেমন এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর দিকে তাদের ঝুঁকে পড়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারবে, তেমনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও বিশ্ব রাজনীতিতে তার প্রভাব জাহির করার একটি সুযোগ পাবেন।
তাছাড়া, ইউক্রেইন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দিতে পশ্চিমাদের উপায় খোঁজার এই সময়ে শি জিনপিং এবং ভ্লাদিমির পুতিন তাদের বৈঠকের মধ্য দিয়ে একযোগে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার প্রকাশও ঘটাতে পারবেন।
শি’র নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে লেখা ‘রেড ফ্ল্যাগস’ বইয়ের লেখক জর্জ ম্যাগনাস বলেন, তার মতে, “শি জিনপিং দেখাতে চান দেশীয়ভাবে তিনি কতটা আত্মবিশ্বাসী। একইসঙ্গে পশ্চিমা আধিপত্যের বিরোধিতাকারী দেশগুলোর আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে তিনি প্রতিভাত হতে চান।
শি ২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ৩৮ বার পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এখনও তার সঙ্গে দেখা করেননি শি।
শি সর্বশেষ এ বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেইনে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
সেই বৈঠকে দুই নেতা একে অপরের সঙ্গে সীমাহীন বন্ধুত্বের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেইন ইস্যুতে পরষ্পরকে সমর্থন করেন এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে আরও সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।