মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চাবাহার বন্দর ব্যবহার করতে ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে আগ্রহী ভারত। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চলতি মাসে উজবেকিস্তানে হতে চলা ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’ বা ‘এসসিও’ ভুক্ত দেশগুলির বৈঠকেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে এই ইস্যু। সেখানে মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশের রাষ্ট্রনায়করা আলাদা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন বলে খবর সূত্রের।
কেন ভারতের কাছে ‘গেমচেঞ্জার’ হতে চলেছে ইরানের চাবাহার বন্দর? দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-সহ দূর প্রাচ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে চাইছে উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান-সহ মধ্য এশিয়ার দেশগুলি। কিন্তু এই দেশেগুলি ‘ল্যান্ড লক’ বা জমি দিয়ে ঘেরা। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের রাস্তা দিয়ে পণ্য নিয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের অন্য কোনও উপায় নেই। কিন্তু ভারতের সঙ্গে শত্রুতা থাকায় তাদের দেশের উপর দিয়ে নয়াদিল্লির জন্য পণ্য নিয়ে যেতে দিতে নারাজ ইসলামাবাদ। ফলে এতোদিন ইচ্ছে থাকলেও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে পারেনি ভারত। এবার সেই সমস্যা মিটতে চলেছে বলেই আশাবাদী কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কীভাবে মিটবে এই সমস্যা? ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নতির জন্য গত কয়েক বছরে বিপুল টাকা খরচ করেছে নয়াদিল্লি। বিনিময়ে ভারতকে এই বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে তেহরান। কিন্তু সম্প্রতি কিছু আইনগত সমস্যা দেখা দেয়ায় এই বন্দর ব্যবহার করতে পারছে না নয়াদিল্লি। সেই সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার জন্য ইরানের তরফে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ফের এই বন্দরের ব্যবহার ভারত শুরু করলেই পাকিস্তানকে এড়িয়ে পণ্য পাঠাতে পারবে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলি। তখন এই দেশগুলির সঙ্গে আরও মজবুত হবে নয়াদিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
এই নিয়ে কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে উজবেকিস্তান। চাবাহার পর্যন্ত যাতে আফগানিস্তানের রাস্তায় পণ্য নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য তালেবান সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছে তারা। পাশাপাশি, এই ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেছে এই দেশ। মধ্য এশিয়ার দেশগুলির জন্য ‘ইস্টার্ন করিডোর’ হতে চলা চাবাহার ফের কবে থেকে ব্যবহার করা শুরু করবে ভারত? সেদিকেই তাকিয়ে অর্থনৈতিক মহল। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।