বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টান টান উত্তেজনা ও ইভিএম নিয়ে নানা সন্দেহ সংশয়ের মধ্যে সাড়ে ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে। প্রায় ৮ হাজারের বেশি ভোটের ব্যাবধানে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে হারিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার নগর পিতা হলেন জাহেদী পরিবারের সদস্য কাইয়ুম শহরিয়ার জাহেদী হিজল। তিনি নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে ৪৭টি ভোট কেন্দ্রে ২৫ হাজার ৯’শ ৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটমত প্রতিদ্বন্দি শাসকদল আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৮৮ ভোট।
রবিবার সকাল ৮টায় ঝিনাইদহ পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতি ভোট গ্রহন শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেশ কয়েটি ট্রেন্ড ভাংচুর করে বলে অভিযোগ। এছাড়া শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে উত্তেজনা পরিবশে সৃষ্টি হলে বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করে। ফলে বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। দিনব্যাপী বৃষ্টির বাগড়ার মধ্যে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে দেখা যায়। রাতে ফলাফল ঘোষনার পরপরই বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নারিকেল গাছ প্রতিকের সমর্থকরা আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস ছালেক জানান, ঝিনাইদহ পৌরসভায় মোট ভোটার ৮২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৪৪৬ জন ও নারী ভোটার ৪২ হাজার ২৪৯ জন। ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য ৪৭টি কেন্দ্র্র ও ২৬৫টি বুথে ভোট গ্রহন করা হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ প্রার্থী ছাড়াও সাধরণ কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর পদে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে ১৮ জন নির্বাহী ও ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও ৩’শ ৫৫ জন পুলিশ ও ৮’শ ১ জন আনসার নিয়োজিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।