Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পুনরায় নির্বাচন দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর

প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : ৩ কেন্দ্রে প্রায় ৪ হাজার ভোট পেয়েও জয় পেলো না করিমপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া। ৬ কেন্দ্রে সিল মেরে লাঠিয়াল নেতা হারিছ মিয়া বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। দখলকৃত ৬টি কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচন দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে একটি লিখিত আবেদনপত্র পেশ করেছেন গোলাম কিবরিয়া। তিনি আবেদনপত্র ও মৌখিক বক্তব্যে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নৌকা প্রতীক পেয়ে লাঠিয়াল নেতা হারিছ মিয়া খুব একটা এলাকায় যায়নি। তিনি তার লোকজনদের বলেছিলেন নৌকা প্রতীক যখন পেয়েছি ভোট কেউ না দিলেও আমার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। বার বার সলম বদলানো এই লাঠিয়াল হারিছ এক সময় আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক ছিলেন। পরে বিএনপির এমপি সামসুউদ্দিন আহমেদ তথা বিএনপির কাঁধে ভর করে বিএনপির আশীর্বাদ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর আবার বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এই সুবিধাবাদী লাঠিয়াল হারিছ। নির্বাচনের দিন তিনি লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, রসুলপুর ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর কান্দাপাড়া ক্বাওমিয়া মাদ্রাসা, বগারগুত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে অবাধে সিল মারে। এসব কেন্দ্রসমূহ প্রবাসী ভোট, মরা ভোট কোন ভোটই বাদ দেয়নি হারিছ মিয়া। গোলাম কিবরিয়া জানান, ৩ কেন্দ্রে ৪ হাজার ভোট আর ৬ কেন্দ্রে ৭ হাজার ভোটের মাহাত্ম্য পর্যালোচনা করলেই ধরা পড়বে লাঠিয়াল নেতা হারিছ মিয়া ভোট নিয়ে কতবড় দখলবাজি করেছে। তিনি রিটার্নিং অফিসারের নিকট ৬ কেন্দ্রের ভোট বাছাই করে পুনঃ গণনা করলেই হারিছ মিয়ার ধাপ্পাবাজি জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুনরায় নির্বাচন দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ