রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সর্বহারা পার্টির আত্মসমর্পন করা সদস্য ইয়ার আলী প্রামানিক (৫৫) কে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা।
গুরুতর আহত ইয়ার আলী প্রামানিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার চর বরাট গ্রামের মৃত ফেরদৌস প্রামানিকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ইয়ার আলী প্রামানিক বরাট অন্তার মোড় এলাকায় চায়ের দোকান করেন। প্রতিদিনের মত তিনি গত শনিবার দিনগত রাত ১০টার দিকে চায়ের দোকান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে আনুমানিক ৪শ গজ দুরে গেলে অজ্ঞাত দূর্বৃতরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোরে। এতে তার পেটে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়।
এসময় তিনি জীবন রক্ষায় পাশের জৈনক হারু সরদারের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। দূর্বৃত্তরা আরো কয়েক রাউন্ড গুলি ছুরে পদ্মা নদীর দিকে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার আরো
অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে
স্থানান্তর করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, ঘটনাস্থল থেকে চারটি শর্টগানের গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ইয়ার আলী নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা দলের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে চরমপন্থী বেশকিছু সদস্যের সাথে তিনিও সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করেন। পূর্বের কোন বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পুলিশি কার্যক্রম অব্যহত আছে।