মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্রীলংকায় ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষে। সে ঘটনার প্রায় দু’মাস পরে আবার তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি এতদিন সাময়িক ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই সিঙ্গাপুর হয়ে কলম্বো ফিরেছেন তিনি।
বিমানবন্দরে দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী তার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শ্রীলংকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য রাজাপক্ষের সরকারকেই দায়ী করে দেশটির মানুষ। বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটের জের ধরে দেশটিতে তীব্র খাদ্য ও জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিয়েছিলো। এর জের ধরেই গত এপ্রিলে খাদ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে গেলে দেশটিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজাপক্ষে এ অবস্থায় সামরিক বিমানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপ এবং পরে সিঙ্গাপুর হয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান নেন। তার পলায়নের মাধ্যমে অভিজ্ঞ রাজনীতিক রনিল বিক্রমাসিংহের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ তৈরি করে। তবে নতুন সরকারের জন্য গোটাবায়া রাজাপক্ষের ফিরে আসাটাও অনেক স্পর্শকাতর একটি বিষয় কারণ সরকার এই মুহূর্তে নতুন করে কোন বিক্ষোভ দেখতে চাইছে না। আবার রাজাপক্ষের নিরাপত্তার বিষয়টিও রয়েছে।
অবশ্য বিক্ষোভের অন্যতম নেতা ফাদার জিভান্থা পেইরিস বিবিসিকে বলেছেন যে রাজাপক্ষের ফিরে আসার বিরোধিতা তারা করছেন না। ‘শ্রীলংকার যে কোন নাগরিকই দেশে ফিরে আসতে পারেন,’ বলছিলেন তিনি। তবে প্রতিবাদকারীদের অনেকেই বলছেন যে রাজাপক্ষে যদি আবার রাজনীতি বা সরকারে সক্রিয় হতে চান তাহলে তারা এর বিরোধিতা করবেন। ‘তার ফিরে আসার পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যেসব ভুল করেছিলেন সেগুলো নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। তার ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধেও মামলা হওয়া উচিত,’ আরেকজন প্রতিবাদকারী রাজীব কান্ত বলছিলেন।
শ্রীলংকার গণমাধ্যমে আসা খবর অনুযায়ী, সেন্ট্রাল কলম্বোতে রাজাপক্ষের জন্য একটি বাড়ি দেখেছে দেশটির সরকার। সরাসরি সেখানেই উঠেছেন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে রাজাপক্ষেকে তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রাপ্য নিরাপত্তা দেবেন। অবশ্য এর আগে বিক্রমাসিংহ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন পীড়নের অভিযোগ তুলেছিলো। অনেককে আটকও করা হয়েছিলো যাদের অনেকে আবার জামিনে মুক্তিও পেয়েছেন। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া তিনটি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন নেতাদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আটক করা হয়েছিলো।
বিক্ষোভকারীরা বিক্রমাসিংহের বৈধতা ও জনসমর্থনহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার বিরুদ্ধে রাজাপক্ষে পরিবারকে সুরক্ষা দেয়ার অভিযোগ তুলেছিলো। সরকার অবশ্য বলছে যে তারা শুধু তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছে যারা আইন লঙ্ঘন করছে। জুলাইতে প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ের সামনে যেখানে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করছিলো সেখানেও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গত মাস থেকেই তাদের অবস্থানস্থল থেকে সরে এসেছে। সূত্র : বিবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।