Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিছিয়ে ঋষি, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের পথে এগিয়ে ট্রাস

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:৫২ এএম | আপডেট : ১০:৫৪ এএম, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দেশব্যাপী প্রচার এবং তিনটি টেলিভিশন বিতর্কের পর, লিজ ট্রাস শুক্রবার কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের ভোটাভুটির শেষে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রস্তুত বলে মনে করা হচ্ছে। সাবেক চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার ঋষি সুনকের বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র সচিবের এই টানা প্রচারের ফলাফল সোমবার ঘোষণা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পরের দিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার আগেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আনুমানিক দু'লাখ টোরি সদস্যদের পোস্টাল এবং অনলাইন ভোটিং শুরু হয় আগস্টের শুরুতে। জনসন তার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করার এক মাস পরে শুরু হয় এই প্রক্রিয়া।

সদস্যদের ভোটে সুনকের তুলনায় ট্রাস অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু বিজয়ী স্কটিশ হাইল্যান্ডে রানির সাথে দেখা করে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে আসার পরে খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পড়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে বিভিন্ন জ্বালানির দাম। এই এই দাম বৃদ্ধি ব্রিটেনকে ঠেলে দিয়েছে সবচেয়ে খারাপ ব্যয়-সঙ্কটের মধ্যে। দেশে মুদ্রাস্ফীতি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

লাখ লাখ মানুষ জানিয়েছেন যে অক্টোবর থেকে বিল ৮০ শতাংশ বাড়বে। ট্রাস ট্যাক্স কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু তারা দরিদ্রতমদের সুবিধার জন্য কিছুই করবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।

কয়েক সপ্তাহ ধরে, টরি নেত্রী সরাসরি টাকা হস্তান্তরের বিভিন্ন দাবি বাতিল করেছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের মতই আর কোনও কর না দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও তিনি শিগগিরই এই দাবি ভেঙে দিয়েছেন।

বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বরিস জনসন। একসময় ব্রিটেনে ব্রেক্সিটের মুখ ছিলেন জনসন। ব্রিটেনে আগামী নির্বাচন ২০২৫ সালে। তত দিন পর্যন্ত লিজ ট্রাস ব্রিটেন নেতৃত্ব দেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে জনসনের পদত্যাগের পর থেকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছে কনজারভেটিভ পার্টিকে। তাদের দাবি ‘জম্বি সরকার’ চলছে ব্রিটেনে এবং ১৯৭৯ সালে মার্গারেট থ্যাচারের জয়ের পর থেকে প্রথমবার এত বড় অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে ব্রিটেন।

বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ক্রমাগত আক্রমণের পড়ে এই মুহূর্তে ব্রিটেনের লেবার পার্টি প্রায় দ্বিগুণ জনসমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির তুলনায়।
সূত্র : জি নিউজ

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ