মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ বা ম্যাগা এজেন্ডার সমর্থকেরা দেশটির গণতন্ত্রের জন্য একটি হুমকি। পেনসিলভানিয়ায় দেয়া একটি বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘ম্যাগা বাহিনী এই দেশটিকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।’
ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার রাতে ফিলাডেলফিয়ার ইন্ডিপেনডেন্স হল থেকে তার ভাষণ দেন, যেখানে মার্কিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তিনি ২০২০ সালে তার প্রচারণার মূল বিষয় বা থিম ঠিক করেছিলেন ‘আমেরিকার আত্মা’ পুনরুদ্ধার করা। সেখানে শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি বাইডেনের বক্তৃতার জবাবে বলেছেন যে, বাইডেন ‘আমেরিকার অন্তরাত্মাকে মারাত্মকভাবে আহত করেছেন’।
এই দুজনের বক্তৃতা এলো মধ্যবর্তী নির্বাচনের দুই মাস আগে, যে নির্বাচন ওয়াশিংটনে ক্ষমতার ভারসাম্য নির্ধারণ করবে। বাইডেন বলেন, যে সাত কোটি ৪০ লাখ আমেরিকান দুই বছর আগে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন তিনি তাদের নিন্দা করছেন না। ‘সব রিপাবলিকান, এমনকি সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানও ম্যাগা রিপাবলিকান নয়,’ তিনি বলেন। ‘তবে এ নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই যে আজ ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ম্যাগা রিপাবলিকানরাই রিপাবলিকান পার্টিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে, তাদের দ্বারাই দলটি পরিচালিত ও প্রভাবিত - এবং সেটিই দেশের জন্য হুমকি,’ বাইডেন বলেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ট্রাম্প সমর্থকরা গত বছর ইউএস ক্যাপিটলে হামলাকারী জনতাকে বিদ্রোহী নয় বরং দেশপ্রেমিক বলে মনে করে। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা নিজেদের বলেছিলাম যে আমেরিকান গণতন্ত্র নিশ্চিত। কিন্তু তা নয়। আমাদের এটিকে সুরক্ষা করতে হবে। এর পক্ষে দাঁড়াতে হবে। এটা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।’ গত সপ্তাহে বাইডেন ‘চরমপন্থী’ রিপাবলিকানদের ‘আধা-ফ্যাসিবাদী’-দের সাথে তুলনা করেন।
মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকান মাইনোরিটি নেতা ম্যাকার্থি এর কিছু আগে বাইডেনের নিজ শহর পেনসিলভানিয়ার স্ক্র্যান্টন থেকে কথা বলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার এই কংগ্রেসম্যান বলেন যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ‘আমেরিকানদের বিভক্ত করা, হেয় করা এবং অপমান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’। ‘কেন? কারণ তারা তার নীতির সাথে একমত নয়। এটা নেতৃত্ব নয়।’ তিনি বাইডেনকে ‘লাখ লাখ আমেরিকানকে ফ্যাসিস্ট হিসাবে অপবাদ দেয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়ার’ আহ্বান জানান।
শীর্ষস্থানীয় এই রিপাবলিকান আরও বলেন যে বাইডেনের শাসন ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, উন্মুক্ত সীমান্ত, কোভিডের কারণে স্কুল বন্ধ রাখা যা শিশুদের শিক্ষার ক্ষতি করেছে, আফগানিস্তান থেকে ‘বিশৃঙ্খলভাবে’ সেনা প্রত্যাহার এবং দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক জাতীয় অপরাধের ঢেউ তৈরি করে আমেরিকাকে জর্জরিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরে, জো বাইডেন আমেরিকার আত্মার উপর, তার জনগণের উপর, এর আইনের উপর, তার সবচেয়ে পবিত্র মূল্যবোধের উপর আক্রমণ করেছেন। তিনি আমাদের গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ চালিয়েছেন। তার নীতি আমেরিকার অন্তরাত্মাকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে, আমেরিকার চেতনাকে খর্ব করেছে এবং আমেরিকার আস্থার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
ফিলাডেলফিয়ার রাজনীতি বিষয়ক কলামিস্ট ডিক পোলম্যান বলেন, গত দুই বছরে ডেমোক্রেটরা কিভাবে শাসন করছে তা নিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন যাতে গণভোটে পরিণত না হয় সেটি ঠেকানোই বাইডেনের লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘তারা যা বলছে তা হচ্ছে চরমপন্থার একটি উপায় - যা এই মধ্যবর্তী পর্যায়ে এসে ভোটাররা মেনে চলতে পারে না,’ অন্যদিকে ‘ডেমোক্র্যাটরা শাসনের মতো একটি অস্বস্তিকর কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে।’
আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোন ব্যালটেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম থাকবে না, তবে তার উপস্থিতি সবাই অনুভব করতে পারবে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি স্ক্র্যানটন এলাকায় একটি সমাবেশে থাকবেন। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সমর্থিত বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান প্রার্থী আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন জিতেছেন। সূত্র : ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।