Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আমি কেন

নিউ ইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনায় প্রশ্ন আইজিপির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, তারা অভিযোগ করেছেন ২০০৯ সাল থেকে নাকি র‌্যাব কর্তৃক ৬০০ লোক গুম হয়েছে। অথচ আমি র‌্যাবে ঢুকেছিলাম ২০১৫ সালে। তাহলে আমাকে কেন ওই তালিকায় নেয়া হয়েছে? গত বৃহস্পতিবার রাতে ‘যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক কমিটি’র উদ্যোগে নিউ ইয়র্কের গুলশান ট্যারেসে এক নাগরিক সংবর্ধনায় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তার নেপথ্যে তিন বছর ধরে বাংলাদেশিদের একটি চক্রের নিয়োগ দেয়া চারটি লবিং ফার্ম কাজ করেছে। এসব বাংলাদেশি অবয়বে বাঙালি হলেও তারা প্রকৃত বাঙালি না। তারা আর্টিফিসিয়াল বাঙালি। এরা দেশ ও দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিকভাবেই ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র ইউনিটের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ দলটির নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীসহ বাংলাদেশিরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তা ও র‌্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে তারা স্লোগান দেন। গতকাল পুলিশ সদর দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইজিপি বলেন, আজকে আমি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি, যুক্তরাষ্ট্রের বুকে দাঁড়িয়ে আছি। আমি এই দেশে অনেকবার এসেছি, এখানে লেখাপড়া করেছি, চাকরি করেছি। সেই যুক্তরাষ্ট্র আমাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমাকে তাদের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমি পশ্চিমা ভাবধারা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী একজন মানুষ। সেই মূল্যবোধটি হচ্ছে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ। মানবিকতা ও মানবাধিকারের মূল্যবোধ। আমি তাদের স্বাধীনতায়ও বিশ্বাসী। আমি মানবিকতা ও মানবাধিকারে বিশ্বাস করি, কিন্তু আমার বিরুদ্ধেই এটা হলো।
বেনজীর আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটা কি জানেন? সেটা একটি মজার বিষয়। তারা বলছে, ২০০৯ সাল থেকে নাকি দেশে ৬০০ লোক গুম হয়েছে। র‌্যাব নাকি গুম করেছে। আমি ২০০৯ সালে র‌্যাবে ছিলাম না, আমি র‌্যাবে ২০১৫ সালে ছিলাম। যদি আমাকে ৬০০ লোকের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, তাহলে ওই সময় যারা ছিলেন, তাদের কী হবে? বিষয়টা কী এরকম বেটা তুই করোনি, তোর দাদা করেছে, এই জন্য তুই দায়ী?
আইজিপি বলেন, আমি এজন্য আমেরিকান সরকারকে দায়ী করবো না। কারণ হচ্ছে, এটা ষড়যন্ত্রকারীদের তিন বছরের ফসল। চারটি লবিং ফার্মকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি ফার্মকে ২৫ মিলিয়ন (ডলার) করে দেয়া হয়েছে। এটা একশ’ মিলিয়নের প্রজেক্ট। এই নিষেধাজ্ঞা হলো তার ফলাফল। এর সঙ্গে সত্যের কোনও সম্পর্ক নেই। আমি আমেরিকার সরকারকেও কোনও দোষ দেবো না, দায়ী করবো না। আমেরিকান নাগরিকরা তো লবিং ফার্ম নিয়োগ করেনি। কারা এই লবিং ফার্ম নিয়োগ করেছে, তা ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে। তারা কারা? তারা তো আমেরিকান লোক না, এখানে তারা বসবাসও করে না। তাই আমেরিকানদের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। বরং, আমি যেটা মনে করি, আমাদের সঙ্গে আমেরিকানদের একটা শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। তাদের নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের নাগরিকদের সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, তখন আমি আমেরিকায় চাকরি করি। তাহলে তখন তারা আমাকে বের করে দিলো না কেন? ৬০০ লোক হারিয়ে গেছে, তারা কোথায়? তাদের নাম কী? তাদের ঠিকানা কী? তাদের কবর কোথায়? মতিঝিলে হেফাজতের প্রোগ্রামে নাকি তিন হাজার লোক মারা গেছে। পরে আমরা তাদের জিজ্ঞাস করলাম যারা মারা গেছে তাদের নাম, ঠিকানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম দেন। তারা দিতে পারলো না। আমাদের দেশের এই অধিকার, স্বাধিকার, প্রাধিকার নামের কিছু এনজিও এগুলো করেছে। এই তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। সামনে কিন্তু আরও সমস্যা আসতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ