মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছয়মাস ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলেছে। এই ভয়াবহ সংঘাতের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। শক্তিশালী রুশ ফৌজকে ঠেকাতে ইউক্রেনীয় সেনাকে মুক্তহস্তে হাতিয়ারের জোগান দিচ্ছে আমেরিকা। কিন্তু সেই অস্ত্র কার হাতে বা কোথায় যাচ্ছে সেই তথ্যই নাকি নেই কিয়েভের হাতে! সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক রিপোর্ট।
ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মতে, আমেরিকার দেয়া অধিকাংশ অস্ত্রেরই বর্তমান ঠিকানা জানে না ইউক্রেন সরকার। সেই অস্ত্র কোথায় এবং কার কাছে আছে তার সঠিক কোনও তথ্য নেই কিয়েভের হাতে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের ইন্সপেক্টর জেনারেল সন ও’ডনেল নাকি বলেছেন, শুধুমাত্র কাগজে কলমেই মার্কিন অস্ত্রের হিসেব রেখেছে ইউক্রেন। কিন্তু বাস্তবে সেই মিসাইল, রকেট লঞ্চার বা কামান কোথায় আছে সেই তথ্য তাদের কাছে নেই। ও’ডনেলের কথায়, “হাতে লেখা রসিদের মাধ্যমেই মার্কিন হাতিয়ারগুলির হিসাব রেখেছে ইউক্রেন। ফলে সেই সমস্ত অস্ত্র কোথায় বা কার হাতে পৌঁছেছে তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।” তিনি আরও জানান, ইরাক ও আফগানিস্তানেও একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল আমেরিকা।
জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ তহবিলও খতিয়ে দেখবে ইন্সপেক্টর জেনারেল সন ও’ডনেলের দপ্তর। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ, কিয়েভ ও ন্যাটি জোটের মধ্যে হওয়া গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের চুক্তিও খতিয়ে দেখা হবে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের আশঙ্কা, ইউক্রেনীয় ফৌজকে দেয়া মার্কিন অস্ত্রের কিছুটা কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনকে প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। ইতিমধ্যে মারিওপোল দখল করে ফেলেছে রুশ ফৌজ। ডনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনের শেষ ঘাঁটি সেভেরদোনেৎস্কও দখল করেছে পুতিন বাহিনী। সূত্র: ব্লুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।