বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট মেট্রোপুলিশট ট্রাফিক পুলিশের ‘হয়রানির’ প্রতিবাদে নগরীর উপশহর পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করেছিলেন পরিবহন শ্রমিকরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ঘন্টাখানেকের অবরোধে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরমুখী মানুষ।
একাধিক সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। কাগজপত্রবিহীন, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। মামলাও দেওয়া হচ্ছে অহরহ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ গাড়ি রেকিংও করা হয়। রেকিংকে একটি যন্ত্রনাসহ আর্থিক গচ্ছা মনে করছেন ভোক্তভোগীরা। তার মনে করছেন, সাধারন মানুষের মানসিক তুষ্টির মধ্যে আইন শৃংখলার ব্যবহার করা দরকার। কারন তচ্ছু কারনে রেকিং করা হচ্ছে গাড়ি। রেকিং বিল দিতে হয়, সেই সাথে অফিসে দৌড়ঝাপ রয়েছেই।
ট্রাফিক পুলিশের এমন তৎপরতায় পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। তাদের মতে, ট্রাফিক পুলিশ সাম্প্রতিক সময়ে ‘বাড়াবাড়ি’ করছে। কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে। অযথা মামলা দিয়ে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে চালকদের।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, হয়রানির বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তবুও হয়রানি বন্ধ হয়নি।
সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দিলু মিয়া বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের হয়রানির কোনো শেষ নাই! পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশ! সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও মামলা দেয়। ট্রাক, পিকআপ, অটোরিকশা সব গাড়িকে ধরে তারা। চালকদের সঙ্গে বেয়াদবিও করা হয়।’ ডিজিটাল দেশে সবকিছুর পরিবর্তন হল্ওে ট্রাফিক সমস্যদের মুখে অসৌজনমুলক কথার ছড়াছড়ি। মনে হয় গরু রাখতে বের হয়েছে তারা।
তিনি আরো বলেন, ‘আজ সকালে কাচাবাজারে মালামাল আনলোড করে কয়েকটি ট্রাক বেরিয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যে তিন-চারটি গাড়িকে আটকে মামলা দেয় পুলিশ। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে শান্ত করে শ্রমিকদের। তাদের আশ্বাসে সাড়ে ১১টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।’ ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানিয়ে দিলু মিয়া বলেন, ‘রেকার বাণিজ্যে আমরা অতিষ্ঠ। সঙ্গে চলছে স্লিপ বাণিজ্য।’
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের সাথে ঝামেলার কারণে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। তারা বলছে যে, ট্রাফিক পুলিশের প্রসিকিউশন সাম্প্রতিক সময়ে অতিরিক্ত হচ্ছে, বাড়াবাড়ি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ শান্তিপূর্ণ অবস্থা ধরে রাখতে চায়। কোনো ঝামেলা হোক, এটা চায় না পুলিশ।’ পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগের বিষয়টি আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।