প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বিনোদন ডেস্ক : চিত্রনায়ক শাকিবের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন পরিচালক বদিউল আলম খোকন। শাকিবকে নিয়ে এ পর্যন্তত যে ২২টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তার অধিকাংশই দর্শকপ্রিয়তা পায়। শাকিবকে নিয়ে সফল এ নির্মাতা ঘোষণা দিয়েছেন, শাকিবকে নিয়ে আর কখনোই চলচ্চিত্র বানাবেন না। কেন বানাবেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শাকিব খান বদলে গেছে। ও তার অতীত ভুলে গেছে। এখন সে বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের সিনেমা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। নানা অনুষ্ঠান, আড্ডায় দেশের ইন্ডাস্ট্রি, কলাকুশলীদের হেয় করে কথা বলেন। তার অনেক কথা কানে এসে তীরের মতো বিদ্ধ হয়। যে ইন্ডাস্ট্রি শাকিবকে তৈরি করেছে, সেই ইন্ডাস্ট্রি নিয়েই তার উল্টা-পাল্টা ও আবোল-তাবোল বক্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, শাকিবের মতে, বাংলাদেশের নাকি কোনো ভালো কলাকুশলীই নেই! এ কথা তিনি কী করে বলেন! বদিউল আলম খোকন বলেন আমার পরিচালিত ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমেই ঢাকার সিনেমায় শাকিব শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিলেন। এ সিনেমার আগে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তাকে কে চিনতো? সবাই তাকে সাপোর্টিং হিরো হিসেবেই চিনতো। আর শাকিবের উত্থানের পেছনে সোহানুর রহমান সোহান, এফআই মানিক, পিএ কাজলের মতো গুণী নির্মাতারা অনেক অবদান রেখেছেন। এখানকার টেকনিশিয়ানদের জন্যই গুলশান-বনানীতে তার বাড়ি-গাড়ি হয়েছে। আর আজকে তাদের হেয় করে কথা বলছেন। বলছেন ভারতের সবকিছুই বেশি ভালো। খোকন বলেন, তিনি সবার সঙ্গে রাজা-বাদশাহর মতো আচরণ করেন। সিনিয়ররা এইসব দেখে ব্যথিত হন। নতুনরা শাকিবের কাছে অহংকার ছাড়া আর কী শিখবে? কী শেখাতে পারে সে? অথচ এমনটা প্রত্যাশা ছিল না। খোকন বলেন, শাকিব বাংলাদেশের শীর্ষ নায়ক। শিল্পী সমিতির সভাপতিও। তার অনেক দায়িত্ব রয়েছে ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে। কিন্তু তিনি কোনো নিয়মনীতি না মেনে ভারতের সিনেমার নায়ক হচ্ছেন। সেসব সিনেমা বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন চোরাচালানের মতো। তিনি ইচ্ছে করলেই এসব সিনেমায় বাংলাদেশের টেকনিশিয়ানদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে পারেন। অন্যান্য কলাকুশলীদের কাজের ব্যবস্থা করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা করছেন না। মান্না ভাই যদি থাকতেন আজকের এই দুর্দিনে তিনি অনেক কিছুই করার চেষ্টা করতেন। আর শাকিব কী করছে? নিজের স্বার্থ দেখে ভারতের সিনেমার এজেন্ট হয়ে গেছেন। বেশি স্মার্ট হতে গিয়ে নিজের জন্ম, পরিচয় ভুলতে বসেছেন। একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে অস্থির করছেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, শাকিবকে এই দেশের মানুষ ছুঁড়ে ফেলবে, সেইদিন খুব বেশি দূরে নয়। শাকিবের এখনো অনেক কিছু ভাবা উচিত। তার কাছে আমাদের চলচ্চিত্রের অনেক ঋণ জমে আছে। অনেকেই মনে করেন, শাকিব ছাড়া ইন্ডাস্ট্রি চলে না। এটা খুবই ভুল ধারণা। নায়ক তৈরি করে ইন্ডাস্ট্রি, পরিচালকেরা। নায়ক কখনো ইন্ডাস্ট্রি-পরিচালক তৈরি করতে পারে না। এমন ইতিহাস নেই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার আগামী সিনেমাগুলোতে নতুনদের নিয়ে কাজ করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।