পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720125839](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের একটি বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন জাসদের হাসানুল হক ইনু। নানকের বক্তব্য ’৭৫ বঙ্গবন্ধু হত্যকাণ্ডের আগে তথা ’৭২ সাল থেকে জাসদ সৃষ্টি, গণবাহিনী সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল। আর হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদের দাবি জাসদ নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার এবং রাজনৈতিক অজ্ঞতারই বহিঃপ্রকাশ। উল্লেখ, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু সরকার বিরোধী কথাবার্তায় খুবই কৌসুলি। ওয়ার্কাস পার্টি ও জাসদ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করে কোনো বিবৃতি দিলে বা বক্তব্য দিলে তারা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের নাম রাখেন না। দলের নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নাম ব্যবহার করে থাকেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক বলেন, ১৯৭২ থেকে ’৭৫ সালে সারাদেশে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সে সময় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেদিন বিভাজনের মধ্য দিয়ে গণবাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। ইতিহাস আলোচনা করতে গেলে সত্য কথা আমাকে বলতেই হবে। সেদিন জাসদ সৃষ্টি, গণবাহিনী সৃষ্টি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছিল। সেদিন আমাদের (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার করা হয়েছিল। সে সময়ের মতো আজকে যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, তখন কিছু অপশক্তি মাঠে নেমেছে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য।
জাহাঙ্গীর কবির নানকের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ। গতকাল জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির পক্ষে দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন এক বিবৃতিতে জাহাঙ্গীর কবির নানকের ‘মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আড্ডাখানা হিসাবেই জাসদ গণবাহিনী গঠন করেছিল’ বলে প্রদত্ত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেন, জাসদ নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্তব্য শুধুমাত্র নির্জলা মিথ্যাচারই নয়, তার রাজনৈতিক অজ্ঞতারই বহিঃপ্রকাশ। জাসদ শতকরা একশত ভাগ মুক্তিযোদ্ধার দল। জাসদে কখনই খন্দকার মোস্তাকের মত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ব্যক্তিরা নেতৃত্বে আসাতো দূরের কথা, কোথাও কোন জায়গাও পায়নি। ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। সেই নির্বাচনে জাসদের অনেক প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার পরও জাসদ দলীয় সংসদ সদস্যরা সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছিলেন। তৎকালীন সরকার জাসদের সংসদীয় বিরোধী দলীয় ভূমিকা সহ্য না করে জাসদের উপর চরম রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন-নির্যাতন শুরু করে। ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ জাসদের শন্তিপূর্ণ স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে রক্ষীবাহিনী গুলিবর্ষণ করে হত্যাযজ্ঞ চালায়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রাইভেট বাহিনী, পুলিশ, রক্ষীবাহিনী সারা দেশে জাসদের নেতা-কর্মীদের উপর হত্যা-নির্যাতন-গ্রেফতার চালাতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে জাসদের সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গণবাহিনী গঠন করতে বাধ্য হয়। সাজ্জাদ হোসেন আরো বলেন, জাসদ বরাবরই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করেছে বলেই ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ স্বতপ্রণোদিত হয়েই জাসদের সাথে ঐক্যের রাজনীতির পথ গ্রহণ করেছিল। সাজ্জাদ হোসেন জাহাঙ্গীর কবির নানকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, নানক কি বিএনপি-জামাতকে খুশী করতে এবং জনননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় ঐক্যের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতেই এধরনের মিথ্যাচার ও কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রদান করেছেন? ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।