মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় নিয়োগ নয়। নয়াদিল্লিকে আপত্তির কথা জানাল নেপাল। শুধু তাই নয়, সেনায় গোর্খাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখারও অনুরোধ জানিয়েছে কাঠমান্ডু।
বৃহস্পতিবার থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, এই অবস্থায় নেপালের আপত্তি থাকলেও তা আর বিলম্বিত করা সম্ভব নয়। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেক্ষেত্রে কাঠমান্ডু কোনও পদক্ষেপ করলে নেপাল-এ মুখ থুবড়ে পড়বে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা ভারতীয় সেনার সবচেয়ে দুঃসাহসী এই রেজিমেন্ট-কে হারানোরও আশঙ্কা থাকছে।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের মাধ্যমে নেপাল-র গোর্খা-দের নিয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে আসে ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে কাঠমান্ডু-র আপত্তি বিষয়টি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গোর্খা-দের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে সেখানে কর্মরত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নবিন শ্রীভাস্তর কাছে ইতিমধ্যে অুনরোধ জানিয়েছেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় সেনায় নিয়োগের ঘোষণা হতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। সূত্রের খবর, এই নিয়েই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কাঠমান্ডু। তাদের প্রশ্ন, ভারতেই যেখানে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে এত আন্দোলন হচ্ছে, সেক্ষেত্রে এর মাধ্যমে নেপালের গোর্খাদের নিয়োগের যৌক্তিকতা কোথায়? আগামী মাসে নেপাল সফরে যাবেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে নেপাল সরকারের প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে তাকে।
১৯৪৭-র ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে নেপালের গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় নিয়োগ করে আসছে নয়াদিল্লি। গোর্খাদের ভারতীয় সেনায় কাজ করার বিষয়ে নিয়ে ওই বছর ভারত ও ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি করেছিল নেপাল। সেখানে বলা হয়, ভারতীয়দের মতোই সম বেতন, পেনসনসহ অন্যান্য সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন গোর্খারা। কাঠমান্ডুর দাবি, সেই চুক্তি ভাঙছে নয়াদিল্লি। সেনায় চাকরি করার সুবাদে বহু গোর্খা ভারতেই থেকে যান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগের ৪ বছরের মাথায় যাদের বসিয়ে দেয়া হবে, তাদের ভবিষ্যৎ কী? প্রশ্ন তুলেছে নেপাল সরকার।‘‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের মাধ্যমে জওয়ান পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিতে ৪ বছরের জন্য সেনায় নিয়োগ করা হবে। যারা নিয়োগপত্র পাবেন, তাদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’। ৪ বছর পর মাত্র ২৫ শতাংশকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে দেয়া হবে প্রায় ১০ লাখ টাকা। যা সম্পূর্ণ করমুক্ত। এই ৭৫ শতাংশের ভবিষ্যৎ কী হবে, এই নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল নেপাল। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।