Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিমবঙ্গের সেই সিঙ্গুরে হচ্ছে আরো বড় বিনিয়োগ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২২, ৯:০৩ এএম

পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর নামের যে এলাকায় শিল্প স্থাপনের বিরোধিতা করে রক্তাক্ত আন্দোলন হয়েছিল বহু বছর পর সেই সিঙ্গুরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ১০টি সংস্থা।

২০০৬ সালে এই সিঙ্গুরের ৯৯৭ একর জমি তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার সস্তায় ন্যানো গাড়ির কারখানা গড়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ করে লিজ দিয়েছিল টাটা গোষ্ঠীকে। কিন্তু তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সেদিন জমি দিতে অনিচ্ছুক কৃষকদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তিনি। এই আন্দোলনের জেরে সিঙ্গুর থেকে টাটাগোষ্ঠী তাদের কারখানা গুটিয়ে চলে যায় গুজরাটের সানন্দে। যদিও ওই সময় ন্যানো গাড়ি কারখানার নির্মাণকাজ ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছিল।

পরবর্তী সময়ে এই জমি নিয়ে টাটার দায়ের করা মামলা ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট সিঙ্গুরের অধিকৃত ওই ৯৯৭ একর জমি চাষিদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই সিঙ্গুরের জমি নিয়ে আন্দোলনের জেরে ২০১১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ৩৪ বছরের বাম শাসনকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ক্ষমতায় আসার পর এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর সিঙ্গুরের জমি চাষিদের ফিরিয়ে দেন মমতা। কিন্তু এই সিঙ্গুরে আর গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প। শুধু তা-ই নয়, ডিনামাইট নিয়ে সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো গাড়ির কারখানা ভেঙে দেওয়া হলেও ওই জমির আর পুরোপুরি ফসল উৎপাদন করার ক্ষমতা ফিরে আসেনি। বরং এত দিনে ওখানে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে না ওঠায় সেখানকার একদল কৃষক ফের দাবি তোলে সিঙ্গুরে শিল্পায়নের।
সিঙ্গুর থেকে টাটা চলে যাওয়ার পর থেকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেখানে শিল্প আনা। জমি যারা ফেরত পেয়েছিলেন সেই জমিতে চাষ করতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে তাদের। এ নিয়ে প্রচুর রাজনীতি হয়েছে।

পশ্চিবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় নবান্ন সূত্রের কথা উল্লেখ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের খবর, সিঙ্গুরে ৬.৩২ একর জমিতে তৈরি করা হবে শিল্প এলাকা। সেখানে অন্তত ১০টি শিল্প ইউনিটে বিনিয়োগ আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ১৩ জেলার শিল্পদ্যোক্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে। রাজ্যের ১৩ জেলার ৩২টি সরকারি জমিতে শিল্প পার্ক গড়ে উঠবে বলে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। এক্ষেত্রে মোট জমির পরিমাণ ৪৫৬ একর।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের দাবি বেশ কয়েকটি শিল্প সংস্থা ওই সিঙ্গুরে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ৬০০০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ আসতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ