মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার সাথে তুরস্কের চলমান ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও বাণিজ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ টার্কিশ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনকে (টিইউএসআইএডি) একটি চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে তারা জানিয়েছে, আঙ্কারা যদি রাশিয়ার সাথে এ সম্পর্ক অব্যাহত রাখে তাহলে তাদেরও মস্কোর মতো একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে।
টিইউএসআইএডি মঙ্গলবার মার্কিন হুঁশিয়ারি-সংবলিত ইউএস ট্রেজারি এবং এর ডেপুটি সেক্রেটারি উইলি আদেয়েমোর চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া তুরস্কে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সও জানিয়েছে, এখানকার কোম্পানি ও ব্যাংকগুলো ওয়াশিংটানের অবরোধের ঝুঁকিতে রয়েছে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যেসব ব্যক্তি বা সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে সেসব ব্যক্তি বা সংস্থাকে সহায়তা দেয়া কোম্পানিগুলোও ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রয়েছে। তুরস্কের ব্যাংকগুলো বৈশ্বিক ব্যাংকগুলোর ডলার ও অন্যান্য মুদ্রার মাধ্যমে ব্যবসায়ের পাশাপাশি রাশিয়ার কোনো ব্যাংকের সাথেও ব্যবসা বা সম্পর্ক স্থাপনের আশা করতে পারে না।
সম্প্রতি আদেয়েমোর আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুল সফরের পর এই সতর্কতা জারি করা হয়। সেখানে রাশিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অলিগার্কদের সাথে তুরস্কের ব্যবসার সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তুরস্ককে প্রতিহত করতে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক অভিযানের নিন্দা করা, ইউক্রেনকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করা, সহায়তা দেয়া এবং অস্ত্র বিক্রি করা সত্ত্বেও আঙ্কারা ক্রেমলিনের সাথে তার সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া সুইফট পেমেন্ট সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরও তুরস্কের ব্যাংকিং সুবিধা ব্যবহার করে মস্কো অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে তুরস্ককে মাধ্যম বানিয়ে বিভিন্ন দেশের সাথে আর্থিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে। একই সাথে চলতি মাসের গোড়ার দিকে, দুই দেশ রুশ মুদ্রা রুবলে গ্যাস সরবরাহ এবং দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সম্মত হয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশমতো আঙ্কারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং দেশটির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ও সংলাপ ছিন্ন করলে তা বিপরীত ফল দেবে। কারণ বর্তমানে তুরস্ক একটি নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকায় বিভিন্ন বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারছে। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে গেলে সেটি আর সম্ভব হবে না।
এদিকে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন, কোনো ধরনের বিধিনিষেধ বা শর্তারোপ করা হলে তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনবে না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কেনার পর যদি তা ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় তাহলে তারা ওই চুক্তিতেই যাবেন না। সূত্র: ব্লুমবার্গ, মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।