Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতে যেভাবে দুর্নীতির লাগাম টানছে নরেন্দ্র মোদির সরকার

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২২, ১১:০৪ এএম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। অভিযোগ রয়েছে শুধু বিরোধীদের লক্ষ্য করেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

এই বিষয়ে বিতর্ক, যুক্তি-পাল্টা যুক্তি থাকলেও একটি বিষয়ে সবাই একমত যে এই অভিযানে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিস্ময়কর সাফল্য ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। গালফ নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরেছে।

যেখানে বলা হয়েছে- ভারতে দুর্নীতি ও কর ফাঁকির ঘটনা তদন্তে বেগ পেতে হতো দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।

২০০৯ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তার সরকার গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফরেনসিক বিজ্ঞানে একটি প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। গান্ধীনগরের একটি ফরেনসিক পরীক্ষাগারে দুটি কোর্স দিয়ে শুরু হয়েছিল এটি। যার নেতৃত্বে ছিলেন দেশটি শীর্ষস্থানীয় ফরেনসিক বিজ্ঞানী ড. জে এম ব্যাস।

এরপর ২০২০ সালে নতুন আইনের মাধ্যমে ভারতে জাতীয় ফরেনসিক সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশাল ও অত্যাধুনিক ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আটটি বিভাগের অধীনে ৬৫টি কোর্স করানো হচ্ছ। যেখানে ডিজিটাল ফরেনসিক ও সাইবার সিকিউরিটি কোর্সের চাহিদা ব্যাপক।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- অন্যান্য দেশের মতোই ভারতের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারাও নিয়মিতভাবে আইন, শাসন, পাবলিক পলিসি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু ফরেনসিক বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের জ্ঞান কম।

বিষয়টিক মাথায় রেখে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ অফিসার এবং প্রসিকিউটরদের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছে। যেখানে পুলিশ, বিচারক, প্রসিকিউটর, ব্যাংকার এবং নিরীক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

ফলে দ্রুতই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্নীতিবাজ ও কর ফাঁকি দেওয়া ব্যক্তিসহ অপরাধীদের দ্রুত সময়েই গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে পারছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যা সব মহলেরই প্রশংসা কুড়াচ্ছে।

বর্তমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যেও অনুরূপ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে কাজ কাজ করছে ভারত সরকার। জানা গেছে, ভারতের এই বিশ্ববিদ্যালয়টির কাছ থেকে ফরেনসিক ও সাইবার সিকিউরিটি তথ্য ও জ্ঞান বিনিময়ে সহযোগিতা নিচ্ছে এশিয়া-আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এমনকি ইউরোপেরও কিছু দেশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ