মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে হিমাচলে প্রবল মৌসুমি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। এই ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৫ জন। নিহতদের মধ্যে ৮ জন একই পরিবারে সদস্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
হিমাচলের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক সুদেশ কুমার মুখতা স্থানীয় সময় শনিবার জানিয়েছে, হিমাচলে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধস এবং বজ্রপাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হিমাচলের মান্ডি, কাংরা এবং চাম্বা জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সুদেশ কুমার মুখতা আরও জানিয়েছেন, রাজ্যটিতে সব মিলিয়ে ৩৬টি প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে। রাজ্যের প্রায় ৭৪৩টি সড়কে চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া, মানালি-চণ্ডীগড় মহাসড়ক এবং শিমলা চণ্ডীগড় মহাসড়কেও যোগাযোগ ব্যাহত হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মানালির ডেপুটি কমিশনার অরিন্দম চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রবল মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে কেবল মানালিতেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রবল বর্ষণ এবং ভূমিধসের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিমাচল। রাজ্যের উদ্ধারকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট স্রোতে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে এবং এ সময়ই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধসের ঘটনা যেসব এলাকায় ঘটেছে সেসব এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালু রয়েছে। হিমাচলের যোগিন্দর নগরের সঙ্গে পাঞ্জাবের পাঠানকোটের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়েছে গেছে।
এদিকে, উত্তারখণ্ডে নিহতদের মধ্যে ৪ জন মারা গেছেন বজ্রপাতে। পাশাপাশি প্রবল বর্ষণের ফলে নদীর স্রোত এবং পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় নদীর দুই তীরের বেশ কিছু বাড়িঘর ভেসে গেছে। তারপর থেকেই ওই এলাকায় ১০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। অপরদিকে, জম্মু–কাশ্মীর প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট স্রোতে একটি মাটির তৈরি ঘর ধসে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই দুই শিশুর ১ জনের বয়স ৩ বছর এবং অন্য শিশুর বয়স মাত্র ২ মাস।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই রাজ্যগুলোতে ব্যাপক মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে এমন ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার ঘটনা বেশ বেড়ে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে চরমভাবাপন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মতো ভারতেও বাঁধ, বন উজাড় এবং বিভিন্ন অপরিণামদর্শী উন্নয়ন প্রকল্পগুলো এসব দুর্যোগে মানুষের মৃত্যুর হারকেও বাড়িয়ে তুলছে। সূত্র : এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।